পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চবিশ পরগণাঃ দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর রাজ্যের তরফে ভ্যাক্সিনেশনের জন্য যে কোনো ক্যাম্পকেই বেআইনী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর আবারও গত মাসেই সোনারপুরে ভুয়ো ভ্যাক্সিন কাণ্ড প্রকাশ্যে এলো। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী হয়ে ভিতর দিয়ে চোরাচালান করে অর্থের বিনিময়ে ক্যাম্প করে ভ্যাক্সিন দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।
গত ২৩ শে জুলাই সোনারপুরের রূপনগরে অবৈধভাবে আয়োজিত একটি ভ্যাক্সিন ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী মিঠুন মণ্ডলকে অর্থের বিনিময়ে কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর আজ আবার সোনারপুর ভ্যাক্সিন কাণ্ডে উত্তম কর্মকার নামে আরো এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠুন ভ্যাকসিনের সাপ্লায়ার ছিলেন। ও উত্তম ক্যাম্প করতেন। মিঠুনকে জেরা করেই উত্তমের সন্ধান পাওয়া যায়। মিঠুন স্বাস্থ্য কর্মী হওয়ায় বিভিন্ন জায়গার ভ্যাক্সিন ভুল এন্ট্রি করে সোনারপুরে একাধিক ভ্যাক্সিনেশনের ক্যাম্প করেছিলেন। সেখানে অনেকেই এই বেআইনী ক্যাম্পে অর্থের বিনিময়ে ভ্যাক্সিন নিলেও কোনো মেসেজ পাননি।
এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতেই অভিযোগের ভিত্তিতে বেআইনী ক্যাম্পে হানা দিয়ে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর সেখানেই কোভিশিল্ডের দুটি ভায়াল এবং আইসব্যাগ পাওয়া যায়। ফরেন্সিকে দুটি ভায়াল পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে সেগুলির পরীক্ষা চলছে।
এই ঘটনায় মিঠুনের দুই সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন পেশায় পুরোহিত। অপরজন মিঠুনের সহকারী ছিলেন। যদিও এই ঘটনার আরো বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা হয়েছে।