নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতি ও গুলিচালনার ঘটনায় আজ পুলিশ অন্যতম অভিযুক্ত সোনু সিংহকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া সোনা সহ লুঠ করা জিনিসও উদ্ধার হয়েছে। ডাকাতদল ঝাড়খণ্ড হয়ে বিহারে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু এর আগেই এই ঘটনায় বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সুরজকুমার সিংহ নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সুরজকে আদালতে তোলা হলে বিচারক চোদ্দ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত রবিবার রানীগঞ্জের একটি সোনার দোকানে সাত জন ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে চালাতে সর্বস্ব লুটপাট করেন। তবে বেরোতে গিয়েই শ্রীপুর ফাঁড়ির বড়বাবু মেঘনাদ মণ্ডলের সামনে পড়েন। পরে জানা যায়, মেঘনাদবাবু কোনো কাজে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু দোকানের কাছে এসে গোলমাল হয়েছে বুঝতেই পকেটে রাখা বন্দুক বের করে দোকানের দিকে এগিয়ে যান। ঠিক ওই সময় ডাকাত দল দোকানে ডাকাতি সেরে বেরিয়ে আসতেই তার বন্দুকের সামনে পড়ে যান।
এরপর মেঘনাদবাবু এবং ডাকাতদলের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে। আর মেঘনাদবাবুর ছোঁড়া গুলি লাগে এক জন ডাকাতের কোমরে গুলি লাগে। এরপর ওই ডাকাতের বন্দুক হাত থেকে ছিটকে পড়ে। আর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপর ওই অবস্থায় ডাকাত দলটি তাকে একটি বাইকে তুলে চম্পট দেয়। তবে সুরজকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে বিহারের সিওয়ান থেকে গুলিতে জখম ওই সোনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর প্রথমে ধানবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে এই রাজ্যে নিয়ে এসে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে লুঠ করা জিনিস সহ বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাইক ছাড়াও ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা জামাকাপড় ভর্তি দু’টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে ৪২ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও ২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার গহনা ছিল। এছাড়াও রানীগঞ্জ থেকে আসানসোল যাওয়ার রাস্তায় মহিশীলা কলোনীর চক্রবর্তী মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নয়ন দত্ত নামে এক জন ব্যক্তির লুট হওয়া চার চাকার গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়েছে।