নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে একটি ১২ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই পৈশাচিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা আখের ডাল ব্যবহার করে নাবালিকাকে আঘাত করে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশের পাঁচটি দল ঘটনার তদন্তে নামেন।
এই ঘটনার তদন্তে ডগ স্কোয়াড ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের বিশেষ সাহায্য নেওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে নাবালিকার দিদির উপর সন্দেহ হয়। এরপর নাবালিকার দিদিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানতে পারা যায় যে, দিদির একাধিক সম্পর্কের কথা বোন জানতে পেরে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।
ফলে ওই নাবালিকা এবং দিদির মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। এর জেরে মঙ্গলবার রাতেরবেলা সে ওই নাবালিকাকে শৌচকর্মের অছিলায় আখ খেতে নিয়ে যায়। যেখানে আগে থেকেই ওই নাবালিকার দিদির নির্দেশ মতো অমর সিংহ, রঞ্জিত চৌহান, অঙ্কিত ও সন্দীপ চৌহান নামে চার জন যুবক উপস্থিত ছিলেন।
সকলের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। এরপর গণধর্ষণের পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই নাবালিকাকে নিজেরই ওড়না দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়। এছাড়া অভিযুক্ত যুবকদের মধ্যে একজনের সঙ্গে ওই নাবালিকার বড়ো বোনের সম্পর্ক ছিল। গতকাল ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ আখের ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ওই নাবালিকার দিদি সহ সাত জন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইপিসির ২০১ (প্রমান লোপাট), ৩০২ (খুন) এবং ৩৭৬ডি (গনধর্ষণ) ধারায় মামলা করেছেন। এমনকি পুলিশের যে দল ২৪ ঘণ্টায় এই ঘটনার তদন্ত শেষ করেছে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।