অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ কসবার রাসবিহারী কানেক্টরে বাসের মধ্যে চলা মদের আসরে এক কন্ডাক্টরকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো একই রুটের আরেক কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম উজ্জ্বল হালদার। বয়স ২৮ বছর। বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মন্দিরবাজার এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ বেলগাছিয়ার বাসিন্দা শেখ রাজু নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে আট দিনের পুলিশী হেফাজত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজু ও উজ্জ্বল ৩সি/১ রুটের দু’টি বাসে কন্ডাক্টরের কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার একটি পথ দুর্ঘটনায় উল্টোডাঙা থানার পুলিশ রাজুদের বাসটিকে আটক করে থানা চত্বরে রাখেন। শুক্রবার বাসটিকে ছাড়া হয়। রাতেরবেলা ওই রুটের কিছু বাস কসবা কানেক্টরের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের কাছে রাখা থাকে। থানা থেকে ছাড়ার পরে সেখানেই বাসটিকে এনে রাখা হয়। আর রাতেরবেলা তাতেই মদের আসর বসে। সেখানে রাজু ছাড়াও বাসটির চালক শেখ জুলফি, উজ্জ্বল সহ অন্য চালক এবং কন্ডাক্টর ছিলেন।
তখন খাওয়াদাওয়ার সময়ে উজ্জ্বল রাজুদের বাস চালানোর যোগ্যতা নিয়ে ঠাট্টা করে বলেন, ‘‘তোরা বাস চালাস কিভাবে যে এতো দুর্ঘটনা ঘটে? পুলিশের কাছে বার বার ধরা পড়তে হয়?’’ এই নিয়ে হাসিঠাট্টা চলাকালীন রাজু একটি ফল কাটার ছুরি বার করে উজ্জ্বলকে কোপাতে শুরু করলে বাকিরা আটকানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে সে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে সেখানে উপস্থিত সকলে উজ্জ্বলকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হলেও রুবি মোড়ের কাছাকাছি পৌঁছালে উজ্জ্বলের মৃত্যু হয়।
কসবা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজুকে গ্রেফতার করে ও ছুরিটি উদ্ধার করে বাসটিকে আটক করে। আর ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটির ভিতরে দেখা যায়, মাদুর, খাবারের প্যাকেট এবং পানীয়ের বোতল আছে।
এদিন লালবাজারের হোমসাইড শাখা ও ফরেন্সিক বিভাগের সদস্যেরা বাসটি পর্যবেক্ষণে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথাও বলেন। এছাড়া জানা গিয়েছে যে, বাসটির মালিক শহরের বাইরে পরিবার নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। তিনি ফিরলে তার সাথে কথা বলা হবে। তবে বাসমালিক সংগঠনের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।