নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আলিপুরদুয়ারঃ আলিপুরদুয়ারে অ্যাম্বুলেন্স চালকের গাফিলতির জেরে মাতৃগর্ভেই একটি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠলো।
মহিলার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া এলাকার বাসিন্দা হাসেন আনসারি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খুরেশা খাতুনকে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু খুরেশার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে দেওয়া নিশ্চয় যান অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিতে চান। তবে অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা নেওয়ার দাবী জানান। এদিকে পরিবার তা দিতে রাজি না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালক অসুস্থ মহিলাকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেন এমনকি অন্য অ্যাম্বুলেন্সেও যেতে বাধা দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বেশ কিছুক্ষণ বচসার পরে পরিবারের সদস্যেরা অন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে মহিলাকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে যেতে প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশী সময় পার হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকেরা গর্ভে থাকা শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পরিবারের সদস্যেরা হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে কালচিনি থানায় মামলা দায়ের করে কঠোর শাস্তির দাবী করেন। তা না হলে ধর্নায় বসার হুমকি দেন। যদিও বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্স চালক পলাতক। আপাতত পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন। এদিন ওই পরিবার ছাড়া ব্লকের তৃণমূল নেতারা প্রতিবাদে যোগ দিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে এই নিয়ে অভিযোগ জানান।
কালচিনি ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হায়দার আনসারির কথায়, ‘‘হাসপাতালে এই রকম ঘটনা মেনে নেওয়া যাবে না। অভিযুক্ত চালকের কঠোর শাস্তির দাবী জানানোর পাশাপাশি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের জন্য একটি চার্ট বানানোর আর্জি জানানো হয়েছে।
যাতে তারা সেই চার্ট অনুযায়ী টাকা নেন। আর তার থেকে বেশী টাকা নিলে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষ কুমার কর্মকার জানান, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি ও এই নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’