নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া নাগরাকাটার গাঠিয়া চা বাগান এলাকায় একদিকে হাতি ও অন্যদিকে চিতাবাঘের হামলায় আহত হলেন মোট ৩ জন।
জানা গিয়েছে, গাঠিয়াতে লক্ষ্মী ওরাওঁ নামে এক জন মহিলা শ্রমিক একটি জল নিকাশি নালায় কাজ করছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে একটি চিতাবাঘ আক্রমণ করলে নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণ লড়াই শুরু করে দেন। যা দেখে পাশেই কর্মরত শুভম ওরাওঁ নামে এক জন শ্রমিক বাঁচাতে এগিয়ে এলে চিতাবাঘটি শুভমকে আক্রমণ করে।
পরে অন্য শ্রমিকদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে চিতাবাঘটি চা বাগানের ঝোপে ঢুকে পড়ে। এরপর আহত দু’জনকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বর্তমানে দু’জনেই বাগানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চা বাগানের ম্যানেজার নবীন মিশ্র বলেন, ‘‘চিতাবাঘের হামলা ঠেকানোর জন্য বন দপ্তরের কাছে খাঁচা পাতার আবেদন করা হয়েছে।’’ অন্য দিকে বানারহাটের হৃদয়পুর বস্তিতে সেলুকাস ওরাওঁ নামে এক জন ব্যক্তি হাতির সামনে পড়ে হাতির দাঁতের আঘাতে কাঁধের নীচে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সেলুকাসবাবু মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের সজল দেবনাথ জানান, ‘‘চা বাগানের শ্রমিকদের চিতাবাঘ থেকে সুরক্ষিত থাকতে দল বেঁধে কাজে যাওয়া ও বাগানের ভেতর ঢোকার আগে আশপাশ দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’ বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, ‘‘হাতির গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।’’
যদিও বন দপ্তরের ভূমিকায় কেউই সন্তুষ্ট নন। আর যারা বন্যপ্রাণীর আক্রমণে আহত হচ্ছেন তাদেরও সঠিক ভাবে চিকিৎসা করানো হচ্ছে না। এমনকি চিকিৎসার জন্য টাকাও দেওয়া হচ্ছে না।