উড়িষ্যাঃ করোনার আবহে গত ২০ ই মার্চ থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দির বন্ধ ছিল। পুরোহিত ও সেবায়েতদের উপস্থিতিতে কোনোক্রমে রথযাত্রা হয়েছে। দর্শনার্থীদের কোনো সমাগমও ছিল না। অবশেষে আজ নয় মাস পর খুলল জগন্নাথদেবের মন্দির। আজ প্রথমে পুরোহিতদের পরিবারের লোকজনরা দেবতার মূর্তির দর্শনের সুযোগ পান।
আজ ভোর ৪.৫৯ মিনিটে গর্ভগৃহের ফটক খোলা হয়। তারপর যাবতীয় নিয়ম-নীতি মেনে পূজোপাঠ সম্পন্ন হয়। এরপর পুরোহিতদের বাড়ির লোকেরা গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি পান। দীর্ঘদিন বাদে দেবতার দর্শন পেয়ে অনেক ভক্তই আবেগবশত হয়ে অশ্রুপাত করেন। ভক্তরা মনে করেন এবার নিশ্চিত ভগবানের করুণাতে করোনার প্রকোপ কেটে যাবে।
পুরীর জেলাশাসক জানিয়েছেন যে, “কেবলমাত্র সেবায়েতগণ এবং তাঁঁদের পরিবারবর্গ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শন করতে পারবেন। সেজন্য তাঁদের পরিচয়পত্র নিয়ে যেতে হবে”। তারপর ২৬ শে ডিসেম্বর থেকে ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরীর স্থানীয়রা ঠাকুরের দর্শন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পুরসভার লোকেরা গৃহকর্তার নামে বাড়িতে গিয়ে টোকেন দিয়ে আসবেন। আর প্রশাসনের সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে তাদের মন্দিরে যাওয়ার সময়।
নতুন বছরের প্রথম দুই দিন ভিড় আটকাতে মন্দির বন্ধ থাকবে। আর ৩ রা জানুয়ারী থেকে সকল দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু সেদিন থেকে মন্দিরে প্রবেশের জন্য করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আনা বাধ্যতামূলক। তবে ১০ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছরের উর্ধ্বদের মন্দির প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
প্রশাসন ধীরে ধীরে লিঙ্গরাজ, সাক্ষীগোপাল সহ অন্যান্য মন্দির খোলার কাজ শুরু করেছে। তবে শেষমেশ জগন্নাথ দেবের মন্দির খোলায় খুশী ভক্তবৃন্দ।