পাঁচ বিজেপি নেতার গ্রেপ্তারের আর্জি খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট

Share

নয়াদিল্লীঃ ফের সুপ্রিমকোর্টের কাছে রাজ্যের মুখ পুড়লো। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অর্জুন সিং, সৌরভ সিং, মুকুল রায়, পবন কুমার সিং এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নামে ১০০টিরও বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে মিথ্যা ফৌজদারী মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে লাভ না হওয়ায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল সহ এক দল বিজেপি নেতা। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অর্জুন সিং, সৌরভ সিং, পবন কুমার সিং, কবির শঙ্কর বসু এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আবেদনে বলা হয়, রাজ্য তাঁদের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারী মামলাগুলি করেছে সেগুলির তদন্ত প্রক্রিয়া রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করা হোক। আর সেটা না হলে আপাতত তদন্ত প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার ব্যাপারেও সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়।

আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ করলের বেঞ্চ রায় দেন যে, পরবর্তী শুনানির আগে পর্যন্ত পুলিশ বা রাজ্য সরকার অর্জুন সিং, সৌরভ সিং, মুকুল রায়, পবন কুমার সিং, এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে কোনোরকম কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না। পুলিশ শুধু তদন্তের স্বার্থের জন্য তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কিন্তু কোনও কঠোর পদক্ষেপ বা গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা যাবে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বললেন, “তিনি মনে করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের গালে এটা একটা বড়োসড়ো চড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে ন্যায় আশা করা সম্ভব নয়। তাই তাঁরা সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় আর তাদের বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে আপাতত তা স্থগিত রাখা হয়েছে। তাই অনেকটাই নিশ্চিন্ত হওয়া গেলো। কারণ তাঁরা ভয় পাচ্ছিলো যেকোনো মুহূর্তে শাসকদলের পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে জেলে পুড়তে পারে। হয়তো নির্বাচনের আগে জামিনও পাওয়া যেতো না”।


তাই সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে বিজেপি নেতারা।

পাশাপাশি এদিন শীর্ষ আদালতে শ্রীরামপুরের বিজেপিনেতা কবীর বসুর বিষয়টিও উত্থাপিত হয়। গত ৭ ই ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে বিজেপি নেতা কবীর বসুর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।  বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে পরিকল্পিত ভাবেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবী করে, কবীরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা SISF বিক্ষোভকারীদের সরাতে মারধর করে। তা নিয়ে তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে ওই কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কেবল কবীর বসুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।


এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে কবীর বসু একটি পিটিশন দায়ের করেন যে পুলিশী হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশ তাঁর উপর মারধর করেছে। এই ঘটনায় শীর্ষ আদালত SISF-এর সেদিনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী শুনানির দিন সেই রিপোর্টটি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031