‘আপনাদের বেতন নিয়ে ভাবতে হবে না। আইনের মধ্যে থেকেই রাজ্য আপনাদের কাজ করে দেবে।’, চাকরীহারাদের উদ্দেশ্যে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার দাবীতে গতকাল সন্ধ্যাবেলা থেকে এসএসসি দপ্তরের সামনে চাকরীহারারা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর কলেজ মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে চাকরীহারাদের কর্মস্থলে ফেরার আর্জি জানিয়ে বলেন, “কেন গরমে বসে আছেন? কে যোগ্য, আর কে অযোগ্য, সেই তালিকা দিয়ে আপনাদের হবেটা কি?”
এছাড়া জানান, “আমি কাল সন্ধ্যা থেকে কমপক্ষে দশ বার ফোনে কথা বলেছি। আমি কলকাতায় থাকলে হয়তো এক সেকেন্ডে বিষয়টা মিটিয়ে দিতাম। কিন্তু যেহেতু আমি মেদিনীপুরে আছি, আমি রাত বারোটা পর্যন্তও কথা বলে দেখেছি, কেউ কেউ জেদি হয়ে রয়েছেন, যে যোগ্য অযোগ্য তালিকা বার করতে হবে।” এরপরই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেছেন, “আপনার কি যায় আসে, এই তালিকায়! কারোর কথায় কেন পা দিচ্ছেন? কে যোগ্য, কে অযোগ্য, তা দেখার তো আপনার প্রয়োজন নেই। এটা দেখার জন্য রাজ্য সরকার রয়েছে। আদালত রয়েছে। আমরা এভিডেন্স নেব। তালিকার প্রয়োজন নেই। চাকরীটা আছে নাকি, বেতন পাচ্ছেন নাকি, সেটা দেখার দরকার আপনার। বাকিটা আমাদের ওপর ছেড়ে দিন।”
পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, “শিক্ষক-শিক্ষিকারা যারা বসে রয়েছেন, তারা এই গরমের মধ্যে কষ্ট করে বসে রয়েছেন কেন? আপনারা স্কুলে যান। আপনাদের বেতন নিয়ে ভাবতে হবে না। আইনের মধ্যে থেকেই রাজ্য আপনাদের কাজ করে দেবে। আপনি এ না বি, সেটা আদালত ঠিক করবে, আমরা নই। কিন্তু মনে রাখতে চাকরীতে ফিরে যান। বেতন কিন্তু রাজ্য সরকারই দেবে।”
এই সূত্রেই বিরোধীদের নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বাংলায় কয়েকটা লোক বসে আছে, চাকরী খাওয়ার জন্য। জনগণের কাজ করে না। কেবল কোর্টে গিয়ে পিল (পিআইএল বা জনস্বার্থ মামলা) করে। এর জন্য কোর্ট দায়ী নয়। আমরা চাকরী দেব আর ওরা চাকরী খাবে। রাজনীতি করতে গেলে শুধু দানবিক মুখ? মানবিক মুখটা কোথায় যাবে?”