অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আসা হচ্ছে। আর তাই কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েনের ভারপ্রাপ্ত কোঅর্ডিনেটর ও বিএসএফের আইজি প্রতি বুথে অন্তত হাফ সেকশন অর্থাৎ চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাজ্য পুলিশকেও পাহারায় থাকতে বলেছিলেন।
আর এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেওয়া সমস্ত প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে সমস্ত বুথে অন্তত চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবে। এছাড়া রাজ্য পুলিশও থাকবে। বুথ দখল বা সম্ভাব্য হিংসা এড়িয়ে সুষ্ঠু ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর জানিয়েছিলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি ও দু’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে হাফ সেকশন বাহিনী (অর্থাৎ ৫ জন জওয়ান। যার মধ্যে সক্রিয় থাকবেন চার জন) রাখতে হবে। তাছাড়া একটি ভোট কেন্দ্রে তিন-চারটি বুথ থাকলে কমপক্ষে এক সেকশন বাহিনী, পাঁচ-ছ’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী এবং সাতটি বা তার বেশী বুথ থাকলে অন্ততপক্ষে দু’সেকশন বাহিনী (যেখানে সক্রিয় থাকবেন ১৬ জন জওয়ান) মোতায়েন করতে হবে।
এমনকি স্ট্রংরুম অর্থাৎ যেখানে ব্যালটবাক্স বা ইভিএম রাখা হয়, সেখানে এক কোম্পানি বাহিনী (৮০ জন সক্রিয় জওয়ান) মোতায়েন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’’ কোঅর্ডিনেটরদের যুক্তি ছিল, ‘‘বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা, তাতে জওয়ানদেরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।’’