আবারো ধর্ষণের ঘটনাকে অস্বীকার করে প্রকাশ্যে এলো সন্দেশখালির এক মহিলার ভিডিয়ো

Share

মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালিতে এবার আরো এক মহিলা ধর্ষণের অভিযোগকে মিথ্যে অভিযোগ বলে দাবী করলেন। ইতিমধ্যে ওই মহিলার বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। আর মহিলা দাবী করেছেন যে, ‘‘তাকেও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। না জানিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল। এক সপ্তাহ পর যখন তা জানতে পেরে মামলা তুলতে চান, তখন হুমকি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার নেপথ্যে মাম্পি দাস ও পিয়ালী দাস ছিলেন।’’

প্রকাশ্যে আসা নতুন ভিডিয়োয় মহিলার অভিযোগ ছিল, ‘‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। দিল্লি থেকে মহিলা কমিশন এসেছে বলে মাম্পি দাস এবং পিয়ালী দাস আমার শাশুড়িকে থানায় ডেকে নিয়ে থানায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেট ফেলে দিয়েছিল। উনি আর বেরোতে পারেননি। অভিযোগ কি জানতে চাইলে, উনি বলেছিলেন যে, ‘রান্নার কাজের টাকা পাইনি।’ এরপর সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে ওখান থেকে চলে যেতে বলেছিল। আমি বাড়ি ফিরে পিয়ালিকে ফোন করে জানতে চেয়েছি। পিয়ালি আমায় বলেছে, ‘ও কোনো ব্যাপার নয়। অভিযোগ ছিল, তাই সই করিয়েছি। তোমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারো।’



এক সপ্তাহ পরে জানতে পারলাম, অভিযোগ ছিল, রাতেরবেলা আমাদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।’’ পরে ওই মহিলা ও শাশুড়ি পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিল যে, ‘‘ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই মিথ্যে মামলা তুলে নিতে চাই। যা ঘটেনি, সে সব নিয়ে মামলা লড়ব কেন? আমাদের অত ক্ষমতা নেই। আমরা এসব ঝামেলার মধ্যে জড়াতে চাই না।’’ এরপর পিয়ালীর কাছে গেলে সেখান থেকেও অপমান এবং হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পিয়ালি জানিয়েছিল, ‘‘তোমাদের দ্বারা কিছু হবে না। তোমরা অসভ্য, ছোটলোক!’’


আর এসব কারণে ওই মহিলারা পাড়ায় একঘরে হয়ে গিয়েছেন। পিয়ালী অবশ্য এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘তিন মাস পরে এসব হচ্ছে কেন? এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। যা হয়েছে, থানার ভিতরে পুলিশের সামনে হয়েছে। রেখা পাত্রের সাথে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে হয়তো পারিপার্শ্বিক চাপে মামলা তুলে নিতে চান। তুলেও নেন। সাদা কাগজে সই করানোর যে কথা হচ্ছে, তা মিথ্যে। থানায় তো সিসিটিভি আছে। সেটা দেখা হোক। শাসকদলের লোকেরা টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে মহিলাদের দিয়ে এসব বলিয়ে ভিডিয়ো ভাইরাল করছে। এসবের কোনো সত্যতা নেই। তদন্ত হোক।

যদি দোষী প্রমাণিত হই, তাহলে আইন যা শাস্তি দেবে, মাথা পেতে নেব। আর যদি তা না হয়, তাহলে কিন্তু আমি এদের নামে মানহানির মামলা করব।’’ সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। সম্প্রতি স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল বলেছিলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে টাকার বিনিময়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। বসিরহাট আসনের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও দু’হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।’’ বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ভিডিয়োকে সাজানো ও বিকৃত বলেছে। আর গঙ্গাধরও নিজের কণ্ঠস্বর বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন।

DISCLAIMER: This channel does not promote any violent, Harmful or illegal activities. All content provided by this channel is meant for an educational purpose only.

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031