চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে একাধিক মামলার শুনানি হয়।
সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা এখনই তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের কাজ শুরু করতে পারবেন?’’ উত্তরে কেন্দ্রীয় আইনজীবী জানান, ‘‘রাজ্য সরকার কিছু তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে। আদালতের নির্দেশ এলে কেন্দ্রীয় দল এসে বাকি তথ্য জোগাড় করবে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্য দিকে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ‘‘ফরেন্সিক কর্তৃপক্ষ এলে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু অন্য তদন্তকারী সংস্থা এসে যেন ওই কাজ না করে। ইতিমধ্যে ২০ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা নিয়ে প্রধান বিচারপতি জানান সিবিআইকে এই মামলায় পার্টি পক্ষ করা হবে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিকে মামলাকারীদের দাবী, ‘‘সিবিআই দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করা হোক। নিরপেক্ষ সংস্থায় আপত্তি নেই। তবে রাজ্য নয়।’’ এই প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ‘‘এই ঘটনা (বগটুই) গোধরার ঘটনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে রামপুরহাটের ঘটনায় সিট গঠিত হওয়ায় আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল সিটের প্রধান জ্ঞানবন্ত সিংহের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘‘জ্ঞানবন্ত সিংহকে সিটে রাখা হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন আগে তিনি আনিস খানের মৃত্যু ঘটনায় সিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সুতরাং কেন এক ব্যক্তিকে দুটি ঘটনার তদন্তের নেতৃত্বে রাখা হল কেন?’’
সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টোয় রাজ্যকে কেস ডায়েরী নিয়ে আসতে হবে। কোনো তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যাবে না। দ্রুত তদন্ত করে সত্য সামনে আনতে হবে। একটা সুযোগ রাজ্যকে দেওয়া হবে। আদালতে তদন্ত সহ কেস ডায়েরীর রিপোর্ট জমা করতে হবে।
এছাড়া রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আইজিকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ভাবেই হুমকি বা ভয় দেখানো যাবে না। পূর্ব বর্ধমানের জেলা বিচারকের নজরদারিতে ওই নিরাপত্তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিডিয়োগ্রাফির নজরদারীতে সমস্ত পোস্টমর্টেম করা হবে।
কোনো তথ্য প্রমাণ যাতে নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগাতে হবে। আদালতের আগামী নির্দেশ ছাড়া সিসি ক্যামেরার রেকর্ড যেন বন্ধ করা যাবে না। জেলা আদালতের বিচারকের নজরদারিতে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে হবে। দিল্লিকে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।