নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ সবসময় ফেসবুকে সদা মগ্ন থাকতেন স্ত্রী। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। আর এরপরই বিষ খেয়ে আত্নঘাতী হলেন স্ত্রী মামণি অধিকারী। এই চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি নদীয়ার কৃষ্ণনগরের ভীমপুর থানার অন্তর্গত কুলগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া এলাকায় ঘটেছে।
জানা গিয়েছে যে, ১৬ বছর আগে মামণির সাথে পেশায় টোটোচালক শুকদেব অধিকারীর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির পুত্র সন্তান দশম শ্রেণীর ছাত্র। কিছু দিন আগে শুকদেববাবু একটি স্মার্ট ফোন কিনে নিজের নামে একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। তাতে মামণি শুকদেববাবুর ফেসবুক অ্যাকাউন্টেই ফেসবুক করতেন।
ধীরে ধীরে মামণির নেটমাধ্যমে নেশা হয়ে যায়। আর বেশীরভাগ সময়ই ফেসবুকে কাটাতেন যা নিয়ে চরম অশান্তি শুরু হয়। গত ৩০ শে মে ফেসবুক করা নিয়ে ঝগড়া হলে শুকদেববাবু টোটো নিয়ে বের হবার সময় স্ত্রীকেও বাপের বাড়ি রেখে আসতে চান। কিন্তু মামণি টোটোতে উঠলেও মাঝ রাস্তাতে নেমে একাই বাপের বাড়ি যাবেন বলে জানায়।
ফলে শুকদেববাবু নিজের কাজে চলে যান। কিন্তু পরে বেতানায় শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানতে পারেন মামণি সেখানে যাননি। পরে বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী বাড়িতেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তারপর দ্রুত শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসার পর গত ২ রা জুলাই মামণিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে বাড়িতে ফিরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর আবার গত ৪ ঠা জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল মামণি মারা যায়। মৃতার স্বামী এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম সুস্থ হওয়ার আগে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কেন। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেননি।
ঠিক মতো চিকিৎসা হলে স্ত্রীকে বাঁচাতে পারতাম। ওই দিন ফেসবুক করা নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তবে এর জন্য স্ত্রী এত বড়ো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বুঝতে পারিনি।’’ ইতিমধ্যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন।