নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ ফের বিতর্কে কলেজের ইউনিয়ন রুম। কসবাকাণ্ডের পর রাজ্যের একাধিক কলেজের ইউনিয়নের ভিতরে ছবি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। কোথাও জুনিয়রদের যৌনাঙ্গ দেখাতে বাধ্য করার অভিযোগ, কোথাও আবার ইউনিয়ন রুমের মধ্যে বসে মদ্যপানের অভিযোগ উঠে আসছে। এবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কাকদ্বীপের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের মধ্যে বিয়ের আসর বসে। হলো মালাবদলও। নেটমাধ্যমে এমন ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক তুঙ্গে।
জানা যায়, বিবাহিত যুবক কাকদ্বীপের বাসিন্দা অশোক গায়েন। কিন্তু এই কলেজের ছাত্র নন। পাত্রী কলেজেরই ছাত্রী। তবে অশোক কলেজের ভেতর বিয়ের কথা অস্বীকার করে জানায়, “সে ওই কলেজের ছাত্র না। কিন্তু ওই কলেজের ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ওকেই বিয়ে করেছে। আর বিয়ে বাইরে করেছে। কোনো নেতা-কর্মীর পদে নেই। বন্ধুরা যেতে বলায় গিয়েছিল। ছবি তুলে দু’মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে যায়।”
কলেজের অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী এই ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, “যেদিন ঘটনাটা ঘটেছে, তখন তিনি কলেজে ছিলেন না। বিকাল পাঁচটার পর জানতে পেরে নিরাপত্তারক্ষীকে সাথে সাথে দেখার কথা বলা হয়। নিরাপত্তারক্ষী বলেছিলেন, ‘কেউ রয়েছে, বিয়ে করে ঢুকেছে, হুল্লোড় করেছে।’ ওদের বেরিয়ে যেতেও বলা হয়। আর সামনের গেট খুলতেও বারণ করা হয়েছিল।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সৌম্যদ্বীপ গায়েন বলেন, “বিয়েটা বাড়িতেই হয়েছে। বিয়ের পর দেখা করতে এসেছিল, ছবি তোলে। এটা নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার হয়।” এদিকে, এবিভিপি নেতা নিপুন দাস এই বিষয় বলেছেন, “ইউনিয়ন রুমে গিয়ে বিয়ে…. এটা কি মানা যায়? ওটা তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাইরে বিয়ে হয়েছে কিনা, সেটা বলা যাবে না। তবে দেখা যাচ্ছে, ইউনিয়ন রুমের সামনে মালাবদল হয়েছে।”