নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ চলতি বছর জানুয়ারী মাসে করোনা সংক্রমণে স্ফীতি দেখা দিয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু ফের দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ সহ কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের জন্য আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘ওমিক্রন ও ওমিক্রনের নয়া রূপগুলি ইউরোপে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরী করেছে তা সারা বিশ্ব দেখেছে। ভারত তুলনামূলক ভাবে পরিস্থিতি সামলে নিলেও কিছু কিছু রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে। তাই নতুন করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

ভারতে ৯৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষদের করোনার প্রথম ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভ্যাক্সিন করোনা প্রতিরোধের এক মাত্র উপায়। এছাড়া দীর্ঘ দিন পরে আমাদের দেশে বিদ্যালয় খুলেছে। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বাড়তেই অভিভাবকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আবার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবরও উঠে এসেছে।

তবে পড়ুয়াদেরও ভ্যাক্সিনেশনের কাজ অনেক এগিয়েছে। আরো দ্রুত এগোতে হবে। তাহলেই পরিস্থিতি সামলানো আরো সহজ হবে। প্রচুর পরিমাণ করোনা পরীক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি কোথায় কোথায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে সেই দিকেও নজর রাখতে হবে।

করোনা পরীক্ষার পর আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিনের গঠনসজ্জা জানা গুরুত্বপূর্ণ। করোনার নয়া রূপগুলিকে চিহ্নিত করতে এই পদক্ষেপ করা খুবই প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি আগের পরিস্থিতির তুলনায় হাসপাতালগুলিতে শয্যাসংখ্যা এবং অক্সিজেন মজুতের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া গত বছর বিভিন্ন রাজ্যর বহু হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

তাই হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজর দিতে হবে। দেশের করোনা বিশেষজ্ঞেরাও দেশ ও সারা বিশ্বের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। তাঁদের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের পরামর্শ মেনে কাজ করতে হবে। আগের রণকৌশল মেনে সংক্রমণকে শুরুতেই বিনাশ করার চেষ্টা করতে হবে।’’

পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গও টেনে বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের কথায় মান্যতা দিয়ে কিছু রাজ্য পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমিয়ে মানুষের সুবিধা করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু এই ভ্যাট কমায়নি কেন তা জানা যায়নি।’’

করোনা মোকাবিলার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের জানিয়েছেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি মজবুত করতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের এক জোট হয়ে কাজ করতে হবে। কেন্দ্র-রাজ্যের তাল মেল আগের থেকেও আর ভালো হওয়া প্রয়োজন।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads HereHTML / JS Code