নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুরের তমলুকের পঞ্চায়েত অফিসের ঠিক উল্টো দিকে তৈরী মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের বক্তৃতা চলছিল। এই সভায় তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সোমনাথ বেরা বক্তৃতায় গ্রামবাসীদের একশো দিনের কাজের বকেয়ার দাবীতে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দেন।
এরপরই শতাধিক তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সদ্য বিজেপির দখলে যাওয়া তমলুকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ নথিও নষ্ট করে দেয়। পাশাপাশি একশো দিনের বকেয়ার দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকেন। বিজেপির অভিযোগ, ‘‘এই ঘটনা চলাকালীন পুলিশ তৃণমূলের সভাস্থল থেকে কিছু দূরে থাকা সত্ত্বেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।’’
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল জানান, “দীর্ঘ দিন তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল। এবার বিজেপি তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে। তাই শোধ নিতে পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ মানুষকে পঞ্চায়েতে হামলা চালানোর জন্য উস্কে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতেরবেলাই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার তরফে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।’’
বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামার ডাকও দিয়েছেন। তবে তমলুক জেলার এক জন তৃণমূল নেতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা চক্রান্ত করে আটকে রেখেছে। যার জন্য এই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই দায়ী। ফলে এলাকার মানুষ নিজেদের দাবী আদায়ের জন্য প্রতিবাদ করছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই।’’