দু’মাস যেতেই ফের কেজি প্রতি চালের দাম চার থেকে ছ’টাকা বৃদ্ধি পেল

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ আবারও প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম চার টাকা থেকে ছ’টাকা বাড়লো। গত দু’মাসে এ নিয়ে গড়ে প্রতি কেজি চালের দাম পনেরো টাকা থেকে আঠারো টাকা বেড়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্তের সংসারে যে মিনিকেট চালের কদর বেশী তারই দাম গত মাসে একলাফে দশ টাকা থেকে বারো টাকা বেড়েছে। মিডিয়েটারদের জন্য দাম বাড়ছে বলে রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকারোক্তি।

মাস দুয়েক আগেও মিনিকেট চাল খুচরো বাজারে প্রতি কেজি ৫০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছিল, বর্তমানে তা ৬৪ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। আর যে গোবিন্দভোগ চাল ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, সেই চাল বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমজনতা সরকারী নজরদারী চাইছে। শস্যগোলা বর্ধমানে মিনিকেট চালের দাম হু হু করে বাড়ছে। অর্থাৎ পাল্লা দিয়ে গোবিন্দভোগ চাল সহ অন্যান্য চালের দামও বাড়ছে। খোদ চাল উৎপাদনের ক্ষেত্র পূর্ব বর্ধমানেই চালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।


চাল বিক্রেতাদের কথায়, “হঠাৎ চালের দাম এভাবে এতটা করে বেড়ে যাওয়ায় খদ্দেরদের বোঝাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। খুচরো ব্যবসায় লগ্নি বাড়ছে কিন্তু লাভ বাড়ছে না। হতে পারে কৃষকের ঘরে ধান নেই। তবে চাল তো রাইস মিলার ও বড়ো বড়ো আড়তদাররা বিক্রি করেন। যদি বাজারে মিনিকেট চালের অভাব থাকে তাহলে চাল আসছে কীভাবে?” যেদিকে চালের দাম এগোচ্ছে তাতে বাজার আরো উর্ধ্বমূখী হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


এক জন দোকানদার জানান, “রাজনীতির লোকেদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। পকেটে টাকা ঢুকলে হয়ে গেল। একটা ডিম সাড়ে পাঁচ টাকা। ৬৪ টাকা কেজি চালের দাম। কি খেয়ে বাঁচব।” রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার কাঞ্চন সোম বলেন, “রাইসমিল থেকে যে দামে চাল বিক্রি হয় তার থেকে অনেক বেশী দামে বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে। মাঝে বেশ কয়েক হাত হয়ে চাল ক্রেতাদের কাছে এসে পৌঁছায়। সেটাও চালের দাম বৃদ্ধির অন্যতম একটা কারণ হতে পারে।”


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031