অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল সকালবেলা থেকে নিখোঁজ থাকা সাত বছর বয়সী এক শিশু কন্যার বস্তাবন্দি দেহ গতকাল রাতেরবেলাই উদ্ধার হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিলজলা থানা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শ্রীধর রায় রোডের একটি চারতলার ফ্ল্যাটে থাকত। গতকাল সকালবেলা ৭ টা নাগাদ শিশুটিকে বাড়ির আবর্জনা নীচে ফেলে আসতে বললে শিশুটি নীচে নেমে ময়লা রাস্তায় ফেলে ভিতরেও ঢুকে যায়। কিন্তু এরপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে সকলে খোঁজ শুরু করেন। অবশেষে বেলা ১২ টা নাগাদ নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়।
দুপুরবেলাও শিশুটিকে না পেয়ে তার বাবা থানায় যান। তখন বিকেলবেলা থেকে তল্লাশি শুরু হয়। তদন্তে নেমে দেখা যায়, ওই বহুতলের দোতলার একটি ফ্ল্যাটের গেট আগে বন্ধ ছিল। পরে সেই গেটটি খোলা পেয়ে ভিতর ঢুকে তল্লাশি শুরু হলে রাতেরবেলা ৯ টা নাগাদ ফ্ল্যাটে রাখা একটি সিলিন্ডারের পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। তারপর ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী অলোক কুমারকে সেখানেই ধরা হয়।
আর খুনের কারণ জানতে মৃতদেহ হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। আর কানে আঘাত সহ মাথায় স্ক্রু ড্রাইভার জাতীয় কিছু দিয়ে ফুটো করার চিহ্ন রয়েছে। আপাতত বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা অলোককে গ্রেফতার করলে সে পুলিশী জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করেছেন।
এদিকে এলাকাবাসীরা পুলিশী নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ তুলে রাতেরবেলা তিলজলা থানার সামনে বিক্ষোভ সহ ইট বৃষ্টি চালান। এমনকি তিলজলা থানার বন্ধ গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকতে চেষ্টা করেন। এরপরেই পুলিশ এলাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা করতে লাঠি নিয়ে বেরোলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এছাড়া রাতেরবেলা গোটা এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি র্যাফও নেমেছিল। এর সাথে সাথে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ঘরে ফেরার অনুরোধ জানায়।