নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তর দিনাজপুরঃ উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বাহারাইল এলাকায় পার্সেলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত অফিসের পার্শ্ববর্তী খালবিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা টোটো চালক রঞ্জন রায়কে রায়গঞ্জের শেরপুর পঞ্চায়েতের পকম্বা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায় যে, বিষ্ণুপুর থেকে বাহারাইলের দিকে আসার সময় চুরামিল এলাকায় অপরিচিত দু’জন বাইক আরোহী টোটোটিকে দাঁড় করায়। এরপর বাইক খারাপ হয়েছে বলে কাছে থাকা পার্সেলটি বাহারাইলের ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীর দোকানে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। আর টোটো চালককে পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১০ টাকা ভাড়াও দেওয়া হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু ওই পার্সেলটি ফেটে বাবলুবাবু সহ পাশে থাকা চার জন আহত হয়েছিলেন। তবে এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকিরা রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী গোলাম রব্বানি সহ হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মণ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখর রায় আহতদের হাসপাতালে গিয়ে দেখার পর বাহারাইলে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেন। তারপরে বাবলুবাবুর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সকলের সাথে কথা বলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রব্বানি বলেন, ‘‘আহদের চিকিৎসা চলছে। আহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ টোটো চালকটিকে গ্রেপ্তার করেছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হবে।’’
টোটো চালক অচেনা দু’জনের যুবকের দেওয়া ওই পার্সেলটি কেন নিলেন? নাকি টোটো চালক পার্সেলটি নিজেই বানিয়েছেন কিনা তা নিয়ে তদন্ত ক্রা হচ্ছে। এদিকে বাহারাইলে যেখানে পার্সেলটির বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই জায়গা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণস্থলে ফরেন্সিক দল এসে সমগ্র বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখবেন।