নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলিগুড়িঃ জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে এক জন কংগ্রেস কর্মীকে গাছে বেঁধে মারধর করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সমগ্র এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। পুরোনো বিবাদের জেরে ওই কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতের নাম মানিক রায়। ময়নাগুড়ি কলোনীর বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে তৃণমূলের লোকেরা মানিকের নামে নারী নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। তখন বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এরপর চাপে পড়ে পাঁচ বছর তিনি শিলিগুড়িতে ছিলেন। ওই সময় থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পাঁচ বছর পর আলাপ আলোচনায় সমঝোতায় এসে সপ্তাহ খানেক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর থেকে আবারও শাসানো হচ্ছিল। এমনকি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
মানিকের স্ত্রীর দাবী, “রবিবার বাপ্পা রায়, অমল দাস সকলে বাড়িতে এসে বলে তোকে আজ ডিজেল দিয়ে পোড়াব।” অবশেষে বুধবার রাতেরবেলা মানিককে এলাকার বেশ কয়েকজন তুলে নিয়ে যান। যা দেখে তার নাবালক ছেলে পিছু নিয়ে দেখে মানিককে গাছে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। তারপর ওই শিশু নদী পেরিয়ে প্রায় ত্রিশ মিনিট দৌড়ে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মানিককে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে জানান, “এটা একেবারেই পাড়াগত গ্রাম্য বিবাদ। কিন্তু যারাই করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকেই বলেছেন, কোনোভাবে গুন্ডারাজ বরদাস্ত করা হবে না। যারা করেছে, তাদের জায়গা জেলের পিছনেই থাকবে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here