নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ গতকাল বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামে বিজেপির ৩৭ নম্বর বুথ সভাপতি নিমাই ধীবরের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠলো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকি মারধরের জেরে নিমাই ধীবরের পা ভেঙে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে পাল্টা আঙুল তুলছে।
এদিন তিনি কাঁকরতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, ‘‘রাতেরবেলা ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ মানা ও শেখ চম্পা বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে মারধর শুরু করে। বিজেপি করছি বলে আমাকে এভাবে মেরে গেল। আমি বুথ সভাপতি হওয়ায় ওদের রাগ। আমার স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে। এছাড়া আমাকে গুলি করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপকুমার সাহা এই ঘটনার খবর পেয়ে থানায় পৌঁছে বলেন, ‘‘এক জন পঞ্চাশোর্ধ্ব বুথ সভাপতিকে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হলো। খয়রাশোল ব্লকে তৃণমূল বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ভয় পেয়েছে বলেই আমাদের বুথ সভাপতিকে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, স্ত্রীকে মারা হয়েছে। ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। সাধারণ মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে নিজের প্রতিবাদ নথিভুক্ত করবেন।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তৃণমূল অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবী করে, ‘‘বিজেপি নিজেদের মধ্যে মারামারি করে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাতে চাইছে।’’ আর জেলায় দলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘নির্বাচনের আগে হাওয়া গরম করতে বিজেপির তরফ থেকে এই সব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বিজেপি নিজেদের মধ্যেই গোলমাল করছে। তৃণমূল এখানে এমনিতেই জয়লাভ করবে, তাই মারামারি করার কোনো প্রয়োজন নেই।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here