চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ তৃণমূল রাজ্যে একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা ও অন্যান্য আর্থিক দাবী আদায়ে ট্রেন না পেয়ে সড়কপথেই দিল্লি অভিযানে যেতে চলেছে। আজ সকালবেলা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সামনে একের পর এক দূরপাল্লার স্লিপার ক্লাসের বাস এসে থামতে শুরু করে। তৃণমূল সূত্রে খবর, মোট পঞ্চাশটি বাসে করে দলের জনপ্রতিনিধি এবং একশো দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডাররা দিল্লি পৌঁছাবেন। তবে প্রয়োজনে আরো বাস আনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাসগুলি আসানসোল, ধানবাদ, বারাণসী, আগ্রা হয়ে দিল্লি পৌঁছাবে। প্রতিটি বাসেই ৭০ থেকে ৭২টি আসন থাকছে। আসনের অতিরিক্ত যাত্রী কোনো বাসেই নেওয়া হচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, রবিবার রাতেরবেলার মধ্যেই বাসগুলি বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ পেরিয়ে দিল্লি পৌঁছে যাবে। ফলে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে, এমন আশঙ্কার প্রেক্ষিতে গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “যদি বিজেপি শাসিত কোনো রাজ্যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের গায়ে হাত পড়ে, তাহলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রবিবার সকালবেলাই দলের কিছু শীর্ষ পদাধিকারী দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন। দিল্লির পাহাড়গঞ্জ রোড, চিত্তরঞ্জন পার্ক, দিল্লি কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকার অতিথিশালা ও পান্থনিবাসগুলিতে বাসযাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব বাস পৌঁছে গেলে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কর্মী-সমর্থক এবং জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে আলোচনা সারবেন। ২ রা অক্টোবর অর্থাৎ আগামী সোমবার গান্ধীজি’র জন্মদিনে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই কর্মসূচী শুরু করা হবে। আর ৩ রা অক্টোবর অর্থাৎ মঙ্গলবার যন্তর মন্তর থেকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দপ্তর অবধি মিছিল করারও কথা রয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উল্লেখ্য, প্রথমে তৃণমূল দিল্লি যাত্রার জন্য গোটা ট্রেন ভাড়া করতে চেয়ে আবেদন জানিয়ে রেলের ঠিক করে দেওয়া ভাড়া ও সিকিউরিটি ডিপোজিটও জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। রেলের তরফে দাবী করা হয়, “তৃণমূল ট্রেন আইআরসিটিসির কাছে চেয়েছিল।” সেই আবেদনের কথা জানার পরে চেষ্টা করেও ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায়নি। ফলে ধর্মতলা থেকে বাসে করেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here