Indian Prime Time
True News only ....

জেলা স্তরে তৃণমূলের বড়োসড়ো সাংগঠনিক রদবদল হলো

- Sponsored -

- Sponsored -

- Slide Ad -

চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ তৃণমূলে বড়ো ধরণের সাংগঠনিক রদবদল ঘটেছে। আজ সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফ থেকে সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারীর সঙ্গে এই রদবদলের কোনো সম্পর্ক নেই। ৫ ই মে দলের বৈঠকের পরই জুন-জুলাই মাসে সাংগঠনিক রদবদল করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। আর মন্ত্রীসভা এবং সাংগঠনিক পদে সামঞ্জস্য আনতেই এই রদবদল হয়েছে। আর যারা জেলা সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েছেন তাদের কয়েকজনকে মন্ত্রীসভায় জায়গা দেওয়া হতেই পারে।

ঝাড়গ্রামে বিধায়ক তথা মন্ত্রী বীরবাহা সোরেন চেয়ারম্যান হয়েছেন। পুরুলিয়ায় হংসেশ্বর মাহাতো সভাপতি হয়েছেন। বাঁকুড়ায় দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র সভাপতি হয়েছেন। মানিক মিত্র চেয়ারম্যান হয়েছেন। বিষ্ণুপুরে বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়কে বিধায়ক করা হয়েছে। বাসুদের দিগারকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক জেলায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে সভাপতি করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতিকে করা হয়েছে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতিকে করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানে প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে সভাপতি করা হয়েছে।

শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রীরামপুর ও হুগলী সাংগঠনিক জেলা মিলিয়ে একটি সাংগঠনিক জেলা করা হয়েছে। অরিন্দম গুঁইকে এখানকার সভাপতি করা হয়েছে। ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলায় তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় সভাপতি করা হয়েছে।

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

জয়দেব জানাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণার দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে সরানো হয়েছে। নির্মল ঘোষকে চেয়ারম্যান পদে রাখা হয়েছে। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে করা হয়েছে।

কারণ অশনি মুখোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ নেতা ছিলেন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার অশোক দেবকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। রানাঘাটে দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে সভাপতি করা হয়েছে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলায় কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। প্রমথ রঞ্জন বসুকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

এত দিন মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুর দুটি আলাদা সাংগঠনিক জেলা ছিল। এবার মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর সাংগঠনিক জেলাকে জুড়ে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক শাঁওনি সিংহ রায়কে সভাপতি করা হয়েছে। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা আলাদা রেখে সাংসদ খলিলুর রহমানকে সভাপতি করা হয়েছে।

মালদায় প্রবীণ বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে কানাইয়ালাল অগ্রবালকে সভাপতি করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে গৌতম দাসকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে মৃণাল সরকারকে সভাপতি করা হয়েছে। নিখিল সিংহ রায়কে চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

দার্জিলিং ভেঙে দুটি সাংগঠনিক জেলা কমিটি করা হয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রীকে পাহাড়ের সভাপতি করা হয়েছে। পাপিয়া ঘোষকে সমতলে সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। জেলার মহিলা নেত্রী মহুয়া গোপকে জলপাইগুড়ির সভাপতি করা হয়েছে। বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে ওই জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

কোচবিহার জেলার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে অভিজিৎ দে ভৌমিককে সভাপতি করা হয়েছে।

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored