নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ আজ রাজ্য জুড়ে চতুর্থ দফার নির্বাচন। এর মধ্যে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি এবং বামেদের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরী করতে চাইছে।’’ কিন্তু তৃণমূল বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে।’’ আজ সকালবেলা ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তেহট্টের থানারপাড়া থানা এলাকায় একটি বুথে সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাধা দিতেই দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয়। এই ঘটনায় এক বাম কর্মীর মাথা ফাটে। থানারপাড়া থানার পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আবার নাকাশিপাড়ার আড়ারবেঘিয়া গ্রামের একটি বুথে একই ঘটনা ঘটেছে। সেখানেও এক জন সিপিএম কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এছাড়া চাপড়াতে সিপিএমের এক জন এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযোগ উঠেছে। তবে তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, চাপরা বিধানসভার সোনপুকুর দাস পাড়ায় নয় ও দশ নম্বর বুথে সিপিএমের ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আর তেহট্ট বিধানসভার নারায়ণপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সতেরো এবং উনিশ নম্বর বুথেও সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয় অর্থাৎ সিপিএম এজেন্ট হাসমুত শেখকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
কৃষ্ণনগরের সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরী করতে চাইছে। বাম কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এতে সন্ত্রাসও রুখে দেবে। সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে জানিয়েও ব্যবস্থা হয়নি।’’ বিজেপি প্রার্থী অমৃত রায় জানান, ‘‘তৃণমূল ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টা জানিয়েছি।’’ যদিও, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভোটে বাম ও বিজেপি ইচ্ছাকৃত অশান্তি করতে চাইছে। তৃণমূল কর্মীরা যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিচ্ছে।’’