কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে লিফলেট বিলিতে ব্যস্ত তৃণমূল

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ পূর্ব মেদিনীপুর সহ বেশ কিছু জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দেখলেই হাতে লিফলেট দিল তৃণমূল। লিফলেট মূলত হিন্দিতে লেখা রয়েছে। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজীতেও লিফলেট ছাপানো হচ্ছে।

এই লিফলেট ছাপানোর মূল উদ্দেশ্য, ভোটের ডিউটিতে আসা জওয়ানদের জানানো, তাদের রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের মতো সরকারী সুবিধা আছে কিনা? আর যদি না পান তাহলে বাড়ি ফিরে এই সব সুবিধা নিজেদের রাজ্যেও যেন দাবী করেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই বলেছিলেন, ‘‘আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বেশ কিছু জায়গায় লিফলেট ছাপিয়ে রেখেছি। হিন্দিতে এবং ইংরেজীতে লিফলেট আছে। সেটাই জওয়ানদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’


কুণাল ঘোষ জানান, ‘‘আপনি যে এসেছেন, আপনার রাজ্যে আপনার বাড়িতে আপনার মেয়ে কন্যাশ্রী পায় তো? আপনার স্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান তো? আপনার মেয়ে পড়াশোনার জন্য ১৮ বছরে টাকা পায় তো? আপনার মেয়ের বিয়ের জন্য রূপশ্রীতে টাকা পান তো? আপনার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে তো, পাঁচ লক্ষ টাকা অবধি বিনামূল্যে চিকিৎসা পান তো? বাংলায় পায়।


আপনি বাড়ি ফিরে গিয়ে বলবেন, বাংলার রাজ্য সরকারের মতো আপনার রাজ্যেও পারিবারিক বন্ধু সরকার চাই।’’ এমন লিফলেট বিলি করার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি নেই। বিধানসভা ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তাও তৃণমূল ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটে নীতিগত কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আপত্তি রয়েছে।


নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত বা পুরসভার স্থানীয় ভোটে রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। অন্যান্য রাজ্যেও সেই নিয়ম পালন করা হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গ ব্যতিক্রম কেন হবে?” যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা জানাচ্ছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তৃণমূল এই নির্বাচনে ভাল ফলাফল করবে।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই বিষয় বলেছেন, “গতকাল প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তৃণমূল এই ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ছাড়া আর কি? তৃণমূল গোড়া থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে এসেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তৃণমূল নীচুতলায় তাদের ম্যানেজ করতে চাইছে।”

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পাল কুণাল ঘোষকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, “চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের সম্পর্কে কিছু বলতে ইচ্ছা হয় না। আশা করব কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনের আগে-পরে সঠিক ভূমিকা পালন করবে।” পাশাপাশি রাজ্যের যুব কংগ্রেস সভাপতি আজহার মল্লিকও কুণাল ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেদিয়েছেন, “যিনি সারদা কাণ্ডের সবচেয়ে বড়ো সুবিধাভোগীর নাম রাজ্যবাসীকে জানিয়েছিলেন, তাঁর নাম রাজ্যবাসী ভোলেনি। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিও তো তৃণমূল সরকারের প্রকল্প। আশা করি সেটার কথাও ওই প্রচারপত্রে লেখা হয়েছে।”

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031