অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ কুণাল ঘোষকে তৃণমূল শো-কজ করলো। আজ কুণাল ঘোষের কাছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সই করা শো-কজের চিঠি তৃণমূল ভবন থেকে পৌঁছেছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, গতকালই শো-কজ করার কথা ছিল। কিন্তু তাপস রায় সংক্রান্ত বিবিধ পরিস্থিতিতে তা করে ওঠায় এদিন সকালেই তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে কুণাল ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় গ্রেফতার করার দাবী সম্বলিত টুইট নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন কেন? আর ওই পোস্টে ইডির (এনফোর্স ডিরেক্টরেট) ও সিবিআইকে (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) ট্যাগ করেছিলেন কেন?
এই কারণে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেন, এর ফলে বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। শো-কজের পর কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ফোনে কোনো উত্তর দেয়নি। ঘটনাচক্রে, তৃণমূলের অভ্যন্তরে সুব্রত বক্সী কুণাল ঘোষের বিরোধী শিবিরের বলেই পরিচিত। আর কুণাল ঘোষের বদলে সুব্রত বক্সীকে পূর্ব মেদিনীপুরে ‘জনগর্জন সভা’র প্রস্তুতি বৈঠকে পাঠানো নিয়ে কুণাল ঘোষ প্রকাশ্যেই নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। তাই সুব্রত বক্সীকে দিয়ে তাঁকে শো-কজ করানোর সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার কুণাল ঘোষ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আর শনিবার মুখপাত্র পদে তাঁর ইস্তফা গৃহীতও হয়েছিল। অনেকের মতে, ‘‘গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে কুণাল ঘোষ কিছুটা বেপরোয়া হয়েই সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে চলেছেন।’’ শনিবার সন্ধ্যাবেলা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আমি তৃণমূলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। খবর পেয়েছি, শুধু মুখপাত্র থেকে ইস্তফার অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। আমার দলের কাছে সবিনয় অনুরোধ, সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফাটিও গ্রহণ করা হোক। আমি ওই পদে থাকব না। আমি শুধু কর্মী হিসেবে থাকব। আমার কোনো মান-অভিমান নেই। আমি জীবনে উত্থান-পতন, স্বর্গ-নরক দেখেছি। তাই আমি সব কিছুকে স্বচ্ছ ভাবে দেখতে চাই। সেটাই মুশকিল হয়ে যায়।’’