অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা দিল্লি পৌঁছে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন যে, “বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে ভোটের মুখে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের প্রচারে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে।” এরপর এই বিষয়ে চিঠি সহ একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। এদিন শশী পাঁজার সাথে দোলা সেন, সাকেত গোখেল, সাগরিকা ঘোষ ও ডেরেক ও’ব্রায়েন ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের বাইরে বেরিয়ে শশী পাঁজা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘‘নির্বাচন কমিশন চিঠি গ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছিলাম। সোমবার সেই সময় পাওয়া গিয়েছে। আবার আমাদের প্রতিনিধি দল আসবে। আজকের চিঠি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখন দেশের সর্বত্র আদর্শ আচরণবিধি চলছে। এই সময়ে কোনো দলের কোনো অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে হয়।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবিজেপির অঙ্গুলিহেলনে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। তারা আমাদের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, কাউকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। প্রার্থীকে বিব্রত করার অর্থ প্রচার আটকানো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে এটা করা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereশুধু ইডি, সিবিআই নয়, আয়কর দপ্তর, এনআইএর মতো সংস্থাও আমাদের নেতাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে। কর্মীদের ব্যতিব্যস্ত করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়টি আটকানোর ক্ষমতা আছে। দেশের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি। লক্ষ্যনীয়, সব কেন্দ্রীয় সংস্থাই কিন্তু বাংলায় আসছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনেরদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব। আমরাও সেটাই চাইছি।’’