চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ সাঁতরাগাছি থেকে হাওড়া ব্রিজ, সকাল থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ সর্বত্র। বসেছে বিশাল বিশাল সব ব্যারিকেড। সকাল থেকেই মক ড্রিলও করতে দেখা যায় পুলিশকে। এরইমধ্য়ে বেলা বাড়তেই তুলকালাম কাণ্ড। পথে নামলেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে কৌস্তভ, অগ্নিমিত্রা পালের মতো নেতা-নেত্রীরা। ব্যারিকেডের মাথায় উঠে স্লোগান দিতে দেখা গেল আন্দোলনকারীদের। উত্তাল হল রাজপথ। এরইমধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গেল কৌস্তভকে। সাফ বললেন, “কাকিমার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এই তো পুলিশের চরিত্র!” এছাড়া মহিলা পুলিশের লাঠির আঘাতে তাঁর কপাল ফুলেছে।
আন্দোলন মঞ্চ থেকেই গর্জে উঠতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর সাফ কথা, “এটা হিন্দু বিরোধী সরকার। এই পুলিশের শাস্তি হবে হবে হবে।” তাঁর দাবি, ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। ১০০ জনের বেশি আহত। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছে তিলোত্তমার মা-বাবাও।
বারবার বাধার মুখে পরে পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে দু’বার লেন বদলে পার্ক স্ট্রিট এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আরও দাবি, অর্জুন সিংয়েরও মাথা ফেটে গিয়ছে। আহত অশোক দিন্দাও। তবে তিনি বলছেন, গোটা নবান্ন অভিযানে কার্যত জনজোয়ার নেমেছে। ৫০ হাজার লোক হয়েছে। বিরোধী দলনেতার স্পষ্ট কথা, “আজকের লড়াই বাংলা বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here