চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ভার্চুয়ালি রাজ্যে চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল ক্যান্সার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন হল। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন।
কলকাতার হাজরা মোড়ে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের প্রথম যে শাখাটি রয়েছে সেখানে ২০৭ টি বেড রয়েছে। এই নতুন ক্যান্সার হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৪৬০ টি বেড রয়েছে।
এই ক্যাম্পাসে এন্ডোস্কোপি সুট, নিউক্লিয়ার মেডিসিন, ৩.০ টেসলা এমআরআই, ১২৮ স্লাইস সিটিস্ক্যানর ও রেডিও নিউক্লাইড থেরাপি ইউনিটের মত অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। এইসব অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি এই হাসপাতাল ক্যাম্পাসে আধুনিক ক্যান্সার গবেষণা করা হবে।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “ক্যান্সারের নাম শুনেই দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত মানুষ হাল ছেড়ে দেয়। এখান থেকে তাদের বের করে আনার জন্য দেশ নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলা সহ সারা দেশে সস্তায় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। ক্যানসারের ওষুধও কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এটাই সরকারেের সংবেদনশীলতা।
সরকার ৫০০ এর বেশী ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করেছে। আয়ুষ্মান ভারতের জন্য ১৭ লক্ষের বেশী ক্যানসার আক্রান্ত উপকৃত হয়েছেন। কেমো, সার্জারি, রেডিয়োথেরাপি সব ফ্রিতে মিলেছে। সরকারের এই প্রয়াস না থাকলে দরিদ্র পরিবারগুলি ঋণের দায়ে শেষ হয়ে যেত। মানুষের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে যেত”।
এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, “চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল ক্যান্সার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনের ফলে রাজ্যে ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন দিগন্ত খুলে গেল। শুধুমাত্র পশ্চিবঙ্গই নয় পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের ক্যান্সার রোগীরাও এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসতে পারবেন।
এর সাথে সাথে কলকাতা, বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে আরো তিনটি নতুন ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরী করা হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই হাসপাতাল গুলি তৈরি করবে। এরফলে বাংলার পাশাপাশি পূর্ব ভারতের অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন”।