চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নেমেছে। মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে দিকে দিকে রাস্তায় নেমেছে। আজ বিজেপি হাওড়া, ভবানীপুর, বালুরঘাট সহ একাধিক জায়গায় শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে। আর এদিন, ভবানীপুরের এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘‘এদিন পুলিশকে শাটারের নীচে দেখা গেল। বিএসএফকে পা ধরে মাঠে নামাল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে গেলে হিন্দুরা থাকতে পারবে না। দশ হাজার হিন্দু পলায়ন হয়েছে। যদি NIA না হয়, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে, আর কয়েকমাস! সাংবিধানিক কমিটিগুলো ঘুরে-ঘুরে ছবি তোলে, ইন্টারনেটে দেয় রিপোর্ট দেয়। প্রেস বাইট দেয়। শুধুই এই সব করলে হবে না। অ্যাকশন চাই। রিপোর্ট নিতে হবে । অ্যাকশন অ্যাকশন অ্যাকশন একটাই কথা। স্ট্রং অ্যাকশন।
আত্মরক্ষার স্বার্থে লাইসেন্স প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়া হোক বর্ডার এলাকার গ্রামবাসীদের হাতে। তাহলেই বাঁচবে সকল হিন্দুরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা নেবেন না। লাগবে না সরকারের টাকা। আমরা বানিয়ে দেব। নতুন করে গড়ে দেব ভেঙে ফেলা মন্দির হিন্দুদের বাড়ি। আমাদের এই মিছিলের শ্লোগান একটাই, ‘হিন্দু বাঁচাও, মমতা ভাগাও।’ চাপদানি থেকে মুর্শিদাবাদ সব ঘটনা পরিকল্পিত। মুর্শিদাবাদের হিংসা একটা জাতিকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা। এটা দেখা গিয়েছে আফগানিস্থানে। আমাকে এমনি ঢুকতে দেয় না ওইখানে। হাইকোর্ট যেতে হয়।
ওদের বন্ধু সেলিম যায়। ওদের বি টিম শুভঙ্কর যায় বাধা নেই। বিজেপি হলেই সমস্যা। লড়াইটা আর সাংবিধানিক লড়াই নেই। লড়াইটা হয়েছে লুঠ কর, আগুন জ্বালাও হিন্দু শেষ কর। লুটেরাদের হাতে রাজ্য চলে গেছে। তাই আমরা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ি থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বাড়ি গিয়ে শেষ করছি। ছাব্বিশে সরকার হলে যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের উপর বুলডোজার চলবে। হিন্দুদের ওরা যা যা লুট করেছে ১২% সুদ দিয়ে তুলব ওদের থেকে। মুর্শিদাবাদ ভদ্রলোকদের জায়গা, প্রণম্য লোকেদের জায়গা। কাশ্মীরের কায়দায় গ্রাম রক্ষী বাহিনী গড়ে তুলুন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিন।’’