চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ এ যেন এক অভিনব প্রতিবাদ! এই রাজ্য তিলোত্তমার জন্য রাত জেগে আন্দোলন করেছে, আবার চাকরীহারারা অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন, সরকারী কর্মী ডিএর দাবীতে আন্দোলন করেছেন এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলির নিত্যদিন মিটিং-মিছিল লেগেই আছে। তবে আজ পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা পথে নামলেন। তাঁদের প্রশ্ন, পুলিশকে এভাবে নিগ্রহ করা হবে কেন? প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযান চলাকালীন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পুলিশকে কুকথা বলার অভিযোগ ওঠে।

পাশাপাশি পুলিশকে ফেলে পেটানো হয়েছে বলে দাবীও করা হয়। এদিন পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা এই নিয়ে সরব হলেন। তাঁদের বাড়ির সন্তান থেকে স্ত্রী সকলেই পথে নামেন। এক মহিলা বলেন, “নবান্ন অভিযানে বিরোধী দলনেতা বাজে ভাষায় নগরপালকে বাজে ভাষায় কথা বলেছেন। এটা মানা যায় না। পুলিশ কর্মী ভাইকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা সুরক্ষা কবচ নিয়ে প্রতিনিয়ত পুলিশকে আক্রমণ করেছে। এর জন্য ধিক্কার।৷ আমাদের পরিবারের মান সম্মান রাখে না। আমাদের ভাই-স্বামীরা রাস্তায় ডিউটি করছেন। কেউ বলছেন বৌ-বিক্রি কর, কেউ বলছে পুলিশ মা কে বিক্রি কর। এটা মানা যায় না।”

তবে এই সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীনই সাংবাদিকদের একাংশ বীরভূমের কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডল সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলেন। সম্প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধেও পুলিশকে হুমকি ও তাঁর পরিবারের স্ত্রী-মাকে নিয়ে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায়। সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করতেই পুলিশের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ব্যাপারটা জানাজানি হতেই উনি ক্ষমা চেয়েছেন। ওঁর নামে কেস হয়েছে। আমরা তো তখনই প্রতিবাদ করেছি। তদন্ত চলছে, দোষী হলে নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে।” এরপর সাংবাদিকরা ফের প্রশ্ন করতেই বলে ওঠেন, “কে বিজেপি, কে তৃণমূল জানি না। আমরা প্রতিবাদ করছি।” এরপর তিনি বলেন, “আমার স্বামীকে বলবে মা বিক্রি করো? আমার স্বামীকে বলবে বৌ বিক্রি করো? আর আপনারা এভাবে প্রেশার দিতে পারেন না।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
 
				 
								 
															













