নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ আর যা খুশি নয় ‘কনটেন্ট’ এর নামে। আর কোনো ইনফ্লুয়েন্সার কনটেন্ট তৈরীর নামে বাকস্বাধীনতাকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার মানে যে কেউ নিজের বক্তব্যের বাণিজ্যিকীকরণ করার চেষ্টা করেন। ফলে এবার থেকে কোনো কনটেন্ট যদি নিষিদ্ধ বক্তৃতার আওতায় পড়ে, সেক্ষেত্রে কেউ দেশের বাক্স্বাধীনতার অধিকারকে অস্ত্র করতে পারবে না।’’
রণবীর আলাহাবাদিয়ার একটি অনলাইন অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। গোটা দেশে সেই ঘটনা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ক্ষমা চেয়েও পার পাননি জনপ্রিয় ইউটিউবার। এর পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সময় রায়না, বিপুল গয়াল, বলরাজ পরমজিৎ সিংহ ঘাই, সোনালি ঠাকুর এবং নিশান্তজগদীশ তনওয়ারেরও নাম জড়ায় ওই একই ঘটনায়। শীর্ষ আদালতে ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন পাঁচ জন। তবে তাতে চিড়ে ভিজল না। সোমবার আদালত নির্দেশ দিল, ওই পাঁচজনকে নিজেদের চ্যানেল থেকেও সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অনলাইনে রাখা বক্তব্যের গাইডলাইন স্থির করার জন্য ইতিমধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আলোচনা করেছে। তবে অনলাইনে কে কী বক্তব্য রাখবেন তার সঙ্গে বাকস্বাধীনতার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। ফলে এই ব্যাপারটিকে সংবেদনশীল হিসেবে ধরছে শীর্ষ আদালত। আর তাই এই ব্যাপারে কোনও পাকাপাকি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে তাড়াহুড়ো করতে চায় না আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অনলাইনে কনটেন্ট তৈরির নাম করে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে মজা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। আর এই বিষয়টি সমাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here