নিউজ ডেস্কঃ নয়া দিল্লিঃ ভারতে আজ থেকে সারভাইক্যাল ক্যানসার বা জরায়ু মুখের ক্যানসারের প্রথম টিকা পাওয়া যাবে। এই ক্যানসারের জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) দায়ী। এদিন কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের উপস্থিতিতে এই টিকাটি বাজারে আসার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।
পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট করোনা টিকা তৈরী করে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এবার সেই আদার পুনাওয়ালার সংস্থা সিরামই বাজারে জরায়ু মুখের ক্যানসারের টিকা নিয়ে এসেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারপার্সন এন কে অরোরা বলেছেন, ‘‘আমরা ভীষণ আনন্দিত এই ভেবে যে অবশেষে আমাদের মেয়েরা বহু প্রতিক্ষিত এই টিকা পেতে সক্ষম হবেন। এই টিকা যে ভারতেই তৈরী করা সম্ভব হয়েছে, সেটা আরো আনন্দের। আশা করছি, খুব দ্রুত ৯ বছর থেকে ১৪ বছরের মেয়েদের জন্য টিকাদান কর্মসূচী চালু হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় এইচপিভি ভাইরাসের কারণে এই ক্যানসার হয়। সেরামের টিকা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী করতে সক্ষম। যদি কম বয়সী মেয়েদের এই টিকা দেওয়া যায় তাহলে আশা করা যায়, ৩০ বছর পর এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্যানসার অন্যান্য ক্যানসারের মতো নয়। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশের প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর পর এই ক্যানসার দেখা যায়। সচেতন থাকলে কারা এই রোগে ভবিষ্যতে আক্রান্ত হতে পারেন তা জানা যেতে পারে। টিকার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। কিন্তু যৌন সংসর্গ শুরুর আগেই এই টিকা নিয়ে নেওয়া বাঞ্চনীয়।
এত দিন এই ক্যানসারের টিকা হিসেবে গার্ডাসিল ও সার্ভারিক্স পাওয়া যেত। যা বিদেশ থেকে আনতে হত। তবে এবার ভারতেই এই টিকা পাওয়া যাবে।
সারা পৃথিবী জুড়ে মহিলাদের মধ্যে যত ধরনের ক্যানসার দেখা যায় এর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে চতুর্থ স্থানে সারভাইক্যাল ক্যানসার। আর এই ক্যানসার রোগীর মধ্যে এক চতুর্থাংশই হলেন ভারতীয় নারীরা। প্রতি বছর গড়ে এক লক্ষ বাইশ হাজারের বেশী নারী এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন।