অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ প্রতিদিনই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে হাজার হাজার যাত্রীর ভিড় পেরোতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু এবার পূর্ব রেল, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে আরো একটি সাবওয়ে চালু করতে চলেছে। নতুন এই সাবওয়ে শিয়ালদহ স্টেশনকে শিয়ালদহ কোর্ট, বি.আর.সিং হাসপাতাল চত্বর ও মেট্রো রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করবে। ভূগর্ভস্থ এই পথ যাত্রীদের জন্য যাতায়াতকে আরো নিরাপদ এবং কার্যকরী করে তুলবে। এই গুরুত্বপূর্ণ সাবওয়ে চালু হলে যাত্রীদের আর শিয়ালদহের ব্যস্ত এলাকা অতিক্রম করতে হবে না। তাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে। আর কম সময়ে পৌঁছাতে পারবেন।
আধুনিক এই সাবওয়েতে বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেমন- প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য র্যাম্প, যা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের চলাচল সহজ করবে। এছাড়া সাবওয়েটিতে উন্নত বায়ু চলাচল ব্যবস্থার মাধ্যমে বাতাসের গুণমান বৃদ্ধি করবে এবং দূষণের প্রভাব কমবে। সাথে যাত্রীদের সুবিধার্থে পথনির্দেশক ব্যবস্থাও থাকবে। সম্প্রতি, পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক শ্রী মিলিন্দ দেউস্কর সাবওয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন ও দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করে এটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শ্রী মিলিন্দ দেউস্কর এও জানান, “এই নবনির্মিত সাবওয়ে চালু হলে শিয়ালদহ থেকে কলকাতা মেট্রোর গ্রীন লাইন করিডোর, যা হাওড়া এবং শিয়ালদহকে সংযুক্ত করে, সেখানে যাতায়াত আরো সহজ হবে”। তাছাড়া শিয়ালদহ স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকার চলমান পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলির অগ্রগতি সম্পর্কেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, প্রায় কুড়ি বছর আগে তৈরী একটি সাবওয়ের একাংশ ভেঙে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন তৈরীর পরিসর বার করা হয়েছিল।
শিয়ালদহ উত্তর এবং মেন শাখার যাত্রীদের স্টেশন থেকে বেরিয়ে শিয়ালদহ কোর্ট ও কোলে মার্কেট হয়ে বৌবাজারের দিকে যাওয়ার জন্য সাবওয়েটি তৈরী হয়েছিল। তবে সাড়ে দশ মিটার চওড়া এবং ১৪৪ মিটার লম্বা সাবওয়েটি নির্মাণের পরেও বেশীরভাগ ভাগ যাত্রী ব্যবহার করতেন না। পরে ওই সাবওয়ের পশ্চিম প্রান্তের একাংশ ভেঙে মেট্রো স্টেশন হয়। ফলে সাবওয়ের দৈর্ঘ্য ১৪৪ মিটার থেকে কমে আশি মিটারে ঠেকেছিল। যদিও যাত্রীদের সুবিধায় সেই সাবওয়ের সংষ্কার করা হয়েছে।