নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ এবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরদমনগরের বাসিন্দা রিকিতা চৌধুরীর কন্যাশ্রীর টাকা ঢুকেছে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ফলে রিকিতা ওই টাকা ফেরত চাইতে গেলে ওই ব্যবসায়ী সোজাসুজি না বলে দেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
জানা যায়, চলতি বছর ওই ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। রিকিতা কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করে। রিকিতার বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের খিদিরপুর শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্টে না ঢুকে তালসুর গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী দেবেন মহালদারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। রিকিতার পরিবার এই ঘটনা জানতে পারার পর দেবেন মহালদারের সাথে যোগাযোগ করে। প্রথমে তিনি টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন বলেছিলেন।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
কিন্তু পরে সেই টাকা দিতে আপত্তি জানালে রিকিতা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। রিকিতার কথায় ‘‘তার স্বপ্ন ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করার। তাই কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা বড়ো ভরসা ছিল।’’ উল্লেখ্য, মাঝেমধ্যেই কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের কাছে না গিয়ে অন্যদের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালের এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ, ‘‘এটা কোনো ভুল না। তৃণমূলের মদতে দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাই প্রকৃত উপভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।’’
কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিজয় গিরি জানান, ‘‘সমস্ত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যিনি প্রকৃত উপভোক্তা, তিনি ঠিকই টাকা পাবেন।’’ জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, ‘‘প্রশাসনকে বলব, কোথায় ভুল হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখতে। কন্যাশ্রী মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প। এখানে যার ন্যায্য পাওনা সেই পাবে।’’ তবে এক জনের কন্যাশ্রীর টাকা অন্য জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গেল কিভাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।