নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নেপালঃ নেপালের বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৭০ জনের গণ্ডি পার করেছে। আর নিখোঁজ আপাতত ৪২ জন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যাও আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে বাগমতি নদী-উপনদীগুলির জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কোথাও কোথাও নদীর জল দু’কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। আর তাতে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট সহ অনেক গাড়ি ভেসে গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গতকাল কাঠমান্ডুর দক্ষিণ অংশে একটি হাইওয়েতে ধস নামে। আর ওই সময় ওই রাস্তায় তিনটি যাত্রীবাহী গাড়ি ছিল। যা ধসে চাপা পড়ে যায়। এর জেরে ওই তিনটি গাড়িতে থাকা মোট ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিন হাজারের বেশী নিরাপত্তাকর্মীকে বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে। তারা হেলিকপ্টার ও মোটরবোটের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন এলাকায় পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। এছাড়া ত্রাণসামগ্রীও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঋষিরাম তিওয়ারি বলেছেন, ‘‘কাঠমান্ডুর সাথে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে আমাদের উদ্ধারকারীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। এখনো অবধি তিন হাজারের বেশী মানুষকে আমরা উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছি। ধসের পর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে হাইওয়ে মেরামত করার কাজও শুরু হয়েছে।’’ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শনিবার নেপালের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে দেড়শোটি ঘরোয়া বিমান বাতিল হয়েছিল। তবে রবিবার সকালবেলা থেকে বিমান পরিষেবা আবার স্বাভাবিক হয়েছে।
যদিও এখনো পর্যন্ত বহু পর্যটকও বিপর্যয়ে আটকে পড়েছেন। নেপালের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ‘‘গত ৪৮ ঘণ্টায় নেপালে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কাছে একটি জায়গায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ২০০২ সালের পর থেকে যা আর কখনো হয়নি।’’