নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ সম্প্রতি মালদার মানিকচকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। তাই প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ না হওয়ায় মানিকচকের দশটি জায়গায় পথ অবরোধ চলছিল। এমনকি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে ঘরবন্দি করে মারধর করেছেন। আবার অনেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকেন। ফলে আইসি সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। আর পুলিশও অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালিয়েছে। এর জেরে পুলিশের গুলিতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এই বিক্ষুব্ধ ঘটনায় ইতিমধ্যে আহতদের মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আর গোটা এলাকা পুলিশবাহিনী ঘিরে রেখেছে। পাশাপাশি ঘটনাটি ভালোভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছে কেন তা জানতে চেয়ে নবান্ন রিপোর্ট তলব করেছে।
এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে রাতেরবেলা এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। বহু বার ডিভিশনাল অফিসারকে সমস্যা মেটানোর কথা বলেছিলাম। তা সত্ত্বেও সমস্যা মেটেনি। চণ্ডীপুর, নুরপুর ও শেখুপুরায় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অবরোধ হয়েছিল। আমি অবরোধকারীদের অনুরোধ করায় অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু এনায়েৎপুরের মানুষজন অবরোধে অনড় ছিলেন। যে ঘটনা ঘটেছে তা কাম্য নয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।’’
রাজ্যের বিরোধী দলগুলি এই ঘটনা নিয়ে সরকারের দিকে আঙুল তুলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। সে কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। এদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী পুলিশের গুলি চালানোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘পুলিশের এই পদক্ষেপ কাম্য নয়।’’ অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র তথা কলকাতার কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে।’’