প্রাক্তনী ও বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে চাপানউতর চলছে বাঁকুড়ার খ্রিস্টান কলেজে

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে কসবায় আইন কলেজ একের পর এক কলেজ ক্যম্পাসে ধর্ষণের ঘটনা। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নাম জড়িয়েছে প্রাক্তনী ও বহিরাগতদের। কিন্তু তারপরেও আদৌ ছবি বদলায়নি রাজ্যের অন্যতম নামী কলেজ বাঁকুড়া খ্রিষ্টান কলেজের। অভিযোগ বহিরাগত ও প্রাক্তনীরা অবাধে যাতায়াত করে কলেজ ক্যম্পাসে।

কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে অন্যান্য কার্যক্রমেও সেই প্রাক্তনী ও বহিরাগতদের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় অন্তত তেমনটাই অভিযোগ পড়ুয়া থেকে বিভিন্ন বিরোধী ছাত্র সংগঠনের। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাঁকুড়া জেলা তো বটেই, সারা রাজ্যের মধ্যে অন্যতম নামী কলেজ বাঁকুড়া খ্রিষ্টান কলেজ। ন্যাকের বিচারে এই কলেজ পরপর তিনবছর এ ক্যাটাগরিভূক্ত কলেজ হিসাবে চিহ্নিত। কলেজের সুবিশাল ক্যম্পাস উঁচু সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। কলেজের প্রতিটি গেটে মোতায়েন থাকে কলেজের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা।

কলেজ ক্যম্পাসের বিভিন্ন অংশে রয়েছে অসংখ্য সিসি ক্যমেরা। কলেজের দাবি, সেই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু কলেজে নিরাপত্তার সেই বজ্র আঁটুনির মধ্যেই ফস্কা গেঁরো রয়েছে বলে দাবি পড়ুয়া ও বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির। পড়ুয়া ও বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি কলেজে অবাধে যাতায়াত করে বহিরাগতরা। যার মধ্যে একাংশ প্রাক্তনী। কলেজ চলাকালীনও তাদের উপস্থিতি থাকে ছাত্র সংসদের আশপাশে ও কলেজ ক্যম্পাসের বিভিন্ন অংশে।


কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমে সেই বহিরাগত প্রাক্তনীদের দেখা মেলে মূল ভূমিকায়। তাঁদের অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের মদতেই মাসের পর মাস ধরে চলছে এই কারবার। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, কলেজের মাঠগুলিকে খেলাধূলা ও প্রাতঃভ্রমণের জন্য সকাল বিকাল ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। ক্যম্পাসের মধ্যে থাকা পুকুরও স্নানের জন্য অনেকে ব্যবহার করেন।

কিন্তু কলেজ চলাকালীন কলেজ ক্যম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত। প্রাক্তনীরাও নির্দিষ্ট কাজ ছাড়া কলেজে প্রবেশ করতে পারে না। রক্ষীদেরও দাবী, কলেজ চলাকালীন কলেজের পরিচয়পত্র দেখে তবেই ক্যম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের তরফেও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ওই ছাত্র সংগঠনের দাবি তাঁদের সংগঠনের কোনও প্রাক্তনী বা কর্মী অপ্রয়োজনে কলেজ ক্যম্পাসে প্রবেশ করে না।



Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930