নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে মাছ বোঝাই লরির সঙ্গে ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে লরিটি সেতুর রেলিং ভেঙে নীচে পড়ে যায়। বিকট আওয়াজে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় গ্রামবাসীরা ছুটে আসলেও তারা গাড়ির নীচে দীর্ঘক্ষণ চাপা পড়ে থাকা খালাসীকে উদ্ধার না করে লরি থেকে পড়ে যাওয়া নদীর ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিশালাকৃতির রুই, কাতলা মাছ তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ বোঝাই লরিটি অসমের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। আহত লরি চালক জানান, “লরিটি একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়েই উল্টোদিক থেকে আসা ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি হয়। তাই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে নীচের ঝুমুর নদীতে পড়ে যায়। তিনি কোনোভাবে লাফিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ভেতরে থাকা খালাসী জলের মধ্যে লরির নীচেই চাপা পড়ে যান”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ঘটনাটির খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকলবাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। গ্রামবাসীরা পুলিশের সামনেই মাছ ধরতে থাকেন। বস্তা ভরে মাছ পাচার হয়ে যেতে থাকে। তবে তখনও প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে খালাসী গাড়ির নীচে জলের মধ্যে চাপা পড়ে রয়েছেন। অবশেষে যখন খালাসীকে জলের মধ্যে লরির নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় ততক্ষণে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চালককে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারপরে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে মাছ লুঠ বন্ধ হয়। এছাড়া ধূপগুড়ি থানার আইসির নির্দেশে মাছগুলোকে পিকআপ ভ্যানে করে সুপার মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হয় নিলামে বিক্রি করার জন্য।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু গ্রামবাসীরা নিজেদের লোভ লালসাকে ত্যাগ করে যদি একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়ে খালাসীকে উদ্ধার করা হতো তাহলে অবশ্য খালাসীর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো।