নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মালদার বৈষ্ণবনগর আসনে হুমায়ুন কবীরের ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’-র প্রার্থী হওয়ার পরই মুস্তারা বিবি নামে এক জন মহিলাকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল মুস্তারা বিবির অভিযোগ খারিজ করে দিল।

আগে বৈষ্ণবনগর বিননগর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মুস্তারা বিবি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। স্বামী কুরবান আনসারি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্কার কর্ণধার। পাশাপাশি এক জন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। গত ২২ শে ডিসেম্বর হুমায়ুন কবীরের নতুন দলের নাম ঘোষণার পর বৈষ্ণবনগরের প্রার্থী হিসেবে মুস্তারা বিবির নাম ঘোষিত হতেই মালদায় শোরগোল পড়ে যায়।

এদিন কুরবান আনসারি দাবী করেন, “আমি আগে তৃণমূল করতাম। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল। কাজ করতে দিত না। তাই ছেড়েছি। আমার স্ত্রীর নাম ঘোষণার পরই উচ্ছ্বাস দেখেছি। ছাব্বিশের নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই হবে না। লড়াই বিজেপির সাথে হবে। তৃণমূল তিন নম্বরে থাকবে। দ্বিতীয় স্থানেও নেই।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিকে, সিভিকের কাজ হারানো নিয়ে মুস্তারা বিবি জানান, “কালিয়াচক থানায় সিভিকের কাজ করতাম। প্রার্থী হওয়ার পরই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতে আমি সিভিকের কাজ করতে চাইছিলাম না। ভালোই হয়েছে।” নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে বলেন, “এখানে আমি জিতব। কে সহযোগীতা করবে, সেটা সময় বলবে। লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। হুমায়ুন কবীর যেমনভাবে বলবেন, আমি তেমন ভাবে এগোব।” তবে তৃণমূল এই বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চাইছে না।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু জানালেন, “হুমায়ুন কবীর বদ্ধ উন্মাদের মতো কথা বলছেন। সকালে একটা কথা বলেন, বিকেলে একটা কথা বলেন। প্রতিদিন তাঁর বক্তব্য বদলে যাচ্ছে। তিনি নিজে যখন ভোটে দাঁড়াবেন, তখন নোটার থেকেও ভোট কম পাবেন।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
মিমের জেলা সভাপতি রেজাউল করিম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “কে কোন দল করছে, এতে আমাদের মাথাব্যথা নেই। ভোট হবে। রেজাল্টের দিন ভোটের বাক্সেই বোঝা যাবে মানুষ কাকে সমর্থন করেছে।” আবার বিজেপির দক্ষিণ মালদার সহ সভাপতি তারক ঘোষ জানিয়েছেন, “হুমায়ুন কবীরের দল টিএমসির একটা পার্ট। আমাদের লক্ষ্য, এই সরকারকে ২০২৬ সালের নির্বাচনে বিসর্জন দেওয়া।”










