নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওড়িশাঃ আগেই আবহবিদরা জানিয়েছিলেন যে, ‘‘রাতেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে’’। তবে প্রবল ঝড় ওঠার আগে সব যেমন থমথমে হয়ে যায়। এ যেন ঠিক তেমনই। আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পারাদ্বীপের ছবিটা ঠিক সেভাবেই পরিবর্তন হয়ে গেল। রাত ৯টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পারাদ্বীপ থেকে মাত্র নব্বই কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। আর ঠিক তার আগে সমুদ্র সৈকত একেবারে থমথমে হয়ে গেল। সৈকত জুড়ে একেবারে গুমোট অবস্থা।
এদিকে, দু’দিন ধরেই ওই এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি চলছে। আর এদিন রাতেরবেলা আচমকাই সব চুপচাপ হয়ে যায়। উপকূল এলাকা একেবারে থমথমে হয়ে যায়। সমুদ্রে মাঝারী ঢেউও দেখা যায়। শুধু তাই নয়, বাতাস উল্টোদিকে বইতে দেখা যায়। ধুলো-বালি, পড়ে থাকা সব হালকা জিনিস, সবই সমুদ্র কাছে টেনে নিচ্ছে। সমুদ্রের ওপর যে ঘূর্ণি তৈরী হচ্ছে সেই ঘূর্ণি সমস্ত কিছু টেনে নিচ্ছে। এভাবেই ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ শক্তি সঞ্চয় করছে।

- Sponsored -
আবার হঠাৎ করেই আকাশে সামুদ্রিক পাখি দেখা যাচ্ছে। সমুদ্র সৈকতে কিছু সাদা পাখিও দেখা বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবী, ‘‘এগুলো ঝড়ের পাখি। ঝড় আসার আগে এই পাখিগুলিকে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই সমুদ্র সৈকতের সমস্ত বাতিস্তম্ভ নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ অর্থাৎ পারাদ্বীপ সমুদ্র একেবারে অন্ধকারাছন্ন হয়ে পড়েছে। পুরো সমুদ্র সৈকত ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত এলাকাবাসীরা আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছেন।