আবদুল খালিকঃ বিহারঃ এক গৃহবধূ প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে রাসায়নিক দিয়ে গলিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই রাসায়নিকে বিস্ফোরণ হতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। বিহারের সিকন্দরপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩০ বছর বয়সী রাকেশকে স্ত্রী রাধা ও তার প্রেমিক তথা সুভাষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠছে। বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও রাকেশ বেআইনীভাবে মদের ব্যবসা করতেন। সুভাষ রাকেশের সহযোগী ছিলেন। প্রায়শই রাকেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াতেন। তখন সুভাষ রাধার খেয়াল রাখতেন। আর এভাবেই সুভাষ এবং রাধার মধ্যে এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর সেই সম্পর্কের মাঝে রাকেশ বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় রাধা ও সুভাষ পরিকল্পনা করে খুন করেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে রাধার বোন এবং তার স্বামীও যোগ দেন। তিজ পার্বণ উপলক্ষে রাধা রাকেশকে ডেকে আনেন। রাকেশের ভাড়া করা ফ্ল্যাটেই ওই চার জন মিলে রাকেশকে খুন করে দেহ লোপাটের জন্য সুভাষ রাকেশের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দেহাবশেষগুলি রাসায়নিকের মধ্যে ডুবিয়ে দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু সেই রাসায়নিকে বিস্ফোরণ ঘটতেই রাকেশের দেহাবশেষ চারপাশে ছিটকে পড়ে। আচমকা ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে বিস্ফোরণের শব্দে আবাসিকরা চমকে উঠেছিলেন। কি হয়েছে তা জানতে বেরিয়ে আসতেই দেখেন একটি ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে রক্ত গড়িয়ে আসছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দরজা খুলতেই দেখে চারদিকে হাড়, মাংসের টুকরো ছড়িয়ে রয়েছে। তা থেকে রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে। রাকেশের দাদা দীনেশ সাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে রাধা, সুভাষ, রাধার বোন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।