দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পর্ব শেষ। ক্ষমতা ধরে রাখলেন মমতা। আশানুরূপ ফল করতে ব্যর্থ বিজেপি। বিপুল সংখ্যক মানুষের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য মসনদে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে এর আগে কোনোদিনই মালদহে খাতা খুলতে পারেনি সেখানে মালদহতেও অদ্ভুত পূর্ব সাড়া পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে জেলার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
https://www.youtube.com/watch?v=L0fUn0rZdBU
এইদিন বিজয় মিছিলে কোমরে দড়ি বেঁধে গ্রামে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ মুখোশধারী দুই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাকে লাঠি পেটা করলেন। ‘বাংলায় আর আসবি, দিদিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করবি’ এই শ্লোগান তুলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা মজার ছলে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহকে মারতে থাকে। এমনই দৃশ্য দেখা গেলো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক বিজয় মিছিলে। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও তৃ্ণমূল কর্মী-সমর্থকদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Herehttps://www.youtube.com/watch?v=NDqCai0NpJc
এদিন মুখোশধারী নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহকে দেখার জন্য ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে শিশু থেকে মহিলারা। বাংলায় যে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের কোনো স্থান নেই তা এই মিছিলে তৃ্ণমূল কর্মী-সমর্থকরা প্রমাণিত হলো বলে জানান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতৃণমূল কুশিদা অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ নুর আজম বলেন, “সমস্ত গ্রাম আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছিল। কারণ আমাদের জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠন করেছে। সেই আনন্দে আমরা প্রচুর আনন্দিত। আমরা সমস্ত গ্রামবাসী মিলে এক বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত করলাম। বিজয় মিছিলের আকর্ষণীয় বিষয় ছিল নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের মুখোশ পরিহিত দুই বিজেপি কর্মীকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হলো। আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চাইনা, আমরা সকলের মেল বন্ধন চাই”।
https://www.youtube.com/watch?v=zhluzgG6RSo
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereজেলা বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করে। হরিশ্চন্দ্রপুর মন্ডল সভাপতি রূপেশ আগারওয়াল বলেছেন, “আজ আমি নিজেও দেখলাম আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখোশ পরিয়ে দুইজন মানুষকে নিয়ে কী নোংরামো করল। তৃণমূল কংগ্ররেসের সংস্কৃতি কি তা সবাই জানে। জনসাধারণ তাদের রায় জানিয়েছে। আগামী দিনে মানুষ নিশ্চয়ই বুঝবে যে তারা কি ভুল করেছে। আজ আমরা ৩ থেকে ৭৭ হয়েছি। আগামী দিনে আরো ভালো ফলাফল করব”।
এবার বিজেপি ২০০ পার এর শ্লোগান দিয়েছিল। আর সেই শ্লোগানের বাস্তবায়ন করে দাপটের সঙ্গে ‘বাংলার মেয়ে’ ক্ষমতায় ফিরলেন। নির্বাচনী ভোট প্রচারে যে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুটার পড়ে যাবে বলে কটাক্ষ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, কিন্তু সেই নন্দীগ্রামেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান। তাতে অবশ্য তৃণমূলের বিজয় রথ আটকায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। গতবারের তুলনায় যেমন আসন সংখ্যা বেডরে তেমনই প্রাপ্ত ভোটের শতাংশেও ইতিহাস তৈরি হয়েছে। বরং নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের স্বপ্নের উড়ান গোত্তা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো।