ব্যুরো নিউজঃ আফগানিস্তানঃ পুনরায় আফগানিস্তান জুড়ে সংখ্যালঘুরা চরম নির্যাতনের শিকার। এবার গতকাল রাতেরবেলা সশস্ত্র তলিবানরা কাবুলের গুরুদ্বারে ঢুকে দেদার ভাঙচুর চালালো। পাশাপাশি গুরুদ্বারের কয়েকজন কর্মীকে আটকেও রাখা হয়েছে।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, আচমকা তালিবানরা কাবুলের প্রধান গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ানে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালায়। সেখানে থাকা সিসিটিভি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একাধিক তালাও ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া কয়েকজন কর্মী, পুণ্যার্থীদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
তবে এর আগেও তালিবানরা আফগানিস্তানের পাক্তিয়া প্রদেশের গুরুদ্বারের ছাদ থেকে শিখদের পবিত্র পতাকা ‘নিশান সাহিব’ সরিয়ে দিয়েছিল। আর এবার সরাসরি ধর্মস্থানে সশরীরে হাজির হয়ে ভাঙচুর চালালো। আফগান শিখ মাইনোরিটির সদস্য সর্দার গোবিন্দ সিং এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
গোবিন্দ সিং একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায়, বন্দুক হাতে একাধিক ব্যক্তি গুরুদ্বারে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। লাথি মেরে ভেঙে তালা বন্ধ দরজাও ভেঙে ফেলছে। ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ফোরামের সভাপতি পুনীত সিং চন্ধক সোশ্যাল মিডিয়া মারফত হামলার কথা স্বীকার করে নেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৫ ই আগস্ট তালিবানরা কাবুল দখল করে নেন। এরপরই তালিবান কর্তারা শিখ ধর্মস্থান গুরুদ্বারে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, ‘তাদের ধর্মাচারণে কোনোরকম বাধা দেওয়া হবে না’। কিন্তু তালিবানদের কথা যে পুরোপুরি মূল্যহীন তা আরো একবার এই গুরুদ্বারের হামলার ঘটনা স্পষ্ট করে দিলো।