নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ, মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্যপণ্যের জিএসটির প্রতিবাদে সাসপেন্ড হওয়া ২০ জন রাজ্যসভার সাংসদ সংসদ ভবন চত্বরে গাঁধীমূর্তির নীচে ৫০ ঘণ্টার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন। বিক্ষোভকারী তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন জানান, ‘‘শুক্রবার দুপুর ১ টা অবধি আমাদের অবস্থান চলবে।’’
লোকসভার চার জন সাসপেন্ডেড কংগ্রেস সাংসদও গাঁধীমূর্তির নীচে অবস্থানে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে আজও দফায় দফায় বাদল অধিবেশন মুলতুবি হয়েছে। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বাদল অধিবেশনের গোড়া থেকে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার দাবী জানানো হয়েছে।
গ্যাসের দাম বাড়ানো, খাদ্যপণ্যে জিএসটি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিতর্ক চেয়ে মুলতবি প্রস্তাবের নোটিশও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু মোদী সরকার আলোচনায় রাজি হয়নি। অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরীর অভিযোগে গতকাল রাজ্যসভা থেকে ২০ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়।
শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের তালিকায় তৃণমূলের দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, শান্তনু সেন, সুস্মিতা দেব, নাদিমূল হক, মৌসম বেনজির নুর, ও আবীররঞ্জন বিশ্বাস রয়েছেন।
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে কানিমোঝি সহ ডিএমকের ছয় জন, সিপিএমের দুই জন, সিপিআইয়ের এক জন, আম আদমি পার্টির এক জন এবং তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির তিন জন রয়েছেন।
এর আগে সোমবার অধিবেশন চলাকালীন স্পিকার ওম বিড়লা অভব্যতা আচরণের অভিযোগে কংগ্রেসের চার জন সাংসদ, তামিলনাড়ুর মনিকম টেগোর (বিরুধনগর) ও জ্যোতিমণি সেন্নিমালাই এবং কেরলের টিএন প্রতাপন (ত্রিশূর) ও রম্য হরিদাসকে (কোঝিকোড়) বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করেন।