অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ পার্কস্ট্রিটের অফিসপাড়ায় অর্থাৎ অ্যালেনপার্কের উল্টো দিকে পার্ক স্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থলে পার্ক সেন্টার নামে একটি বহুতলের উপরের তলে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। সেখানে একটি নাইটক্লাব তথা রেস্তরাঁও সহ কয়েকটি দোকান-পাটও আছে। আর ভিতরে নানা দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে কোনো আহত বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ওই বহুতল লাগোয়া অনেকগুলি বহুতল ছিল। যেখানে বহু আবাসনও রয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আগুনের শিখা এই সমস্ত আবাসনগুলিকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিল। এছাড়া চারিদিক কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় ভয় পেয়ে আবাসিকেরা কোনোমতে রাস্তায় নেমে আসেন। তাছাড়া দ্রুত দমকল বিভাগকে খবর দেওয়া হলে দমকল কর্মীরা খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু প্রবল ধোঁয়ায় দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
এরপর আগে রেস্তরাঁর ভিতরে যে তিন থেকে চার জন আটকে ছিলেন তাদের উদ্ধার করা হয়। তারপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরে আরো দশটি ইঞ্জিন নিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, রেস্তরাঁটিতে আগুন লেগে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। আর ওই রেস্তরাঁর উপরে যে অ্যাসবেস্টসের ছাদ রয়েছে, সেই ছাদে আগুন লেগে রেস্তরাঁর অস্থায়ী ছাদ ক্রমাগত ভেঙে নীচে পড়তে থাকে। ফলে পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি বিপজ্জনক জায়গায় থাকা আবাসন ও অফিসগুলি ফাঁকা করে দেয়। অন্যদিকে, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশ এবং দমকলবাহিনীর কর্তাদের সাথে কথা বলেন। এছাড়া এলাকাবাসীদের সাথেও কথা বলেন। আর আগুন লাগলো কেন, অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো আইন ভাঙা হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে জানান। এছাড়া এও বলেন, “দমকলবাহিনী ভালো কাজ করে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন দেখে আশ্বস্ত হয়েছেন।”