নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানার গোয়াস কলোনী গ্রামে একটি আমবাগানে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমন নামে ওই যুবকের সাথে এক জন তরুণীর দু’বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তরুণীর পরিবারের এই সম্পর্কে আপত্তি থাকায় দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয় যা হাতাহাতি অবধি গড়ায়। আর প্রায় দুই মাস আগে সকলের অসম্মতিতে সে ওই তরুণীর সাথে দেখা করতে আসায় ইসলামপুর পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটে যায়।
সুমনের পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সে একটি মোবাইল কিনে সন্ধ্যাবেলা স্থানীয় বাজারেই ঘুরছিলেন। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর ওই তরুণীর পরিবার খবর দেয় যে সুমন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু তিন ঘণ্টার মধ্যে কি ঘটনা ঘটেছে যার কারণে সুমন আত্মহত্যা করবে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, একই গ্রামে দুই জনের বাড়ি হওয়ায় গতকাল সুমন ওই তরুণীর বাড়ির কাছে গিয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। এই ঘটনায় সুমনের পরিবার ওই তরুণীর পরিবারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে দাবী করেছেন, ‘‘এই সম্পর্কে আপত্তি থাকায় তাকে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।’’
যদিও ওই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, ‘‘দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঠিকই। তবে এখন অন্য জায়গায় মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। এর মধ্যে মাঝেমধ্যেই আমাদের মেয়েকে ওই ছেলেটা বিরক্ত করত। ও এখানে এসে আত্মহত্যা করে বলে শুনেছি। আমরা এই ঘটনার সাথে কোনো ভাবে যুক্ত নই।’’
এদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছেন। অন্য দিকে ওই তরুণীর মা-বাবা পলাতক।