নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রোগীর একটি হাত কাটাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। এটি মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, খড়্গপুরের বাসিন্দা সুভাষ দাস পেশায় একজন রেলকর্মী। কয়েক বছর আগে বাম হাতের হাড় ভেঙে যাওয়ায় হাতে প্লেট লাগানো হয়েছিল। পরে ওই প্লেট বার করার জন্য চলতি মাসের গোড়ার দিকে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের জন্য একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ফলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওই বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর বাম হাতের প্লেট বার করার জন্য ডান হাতে একটি চ্যানেল করে ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। তারপর ডান হাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়। ডাকা হলেও চিকিৎসক সময় মতো না আসায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা হয়নি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপরে সুভাষবাবুকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেওয়া হলে পরে কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। অবশ্য শারীরিক পরিস্থিতি দেখে আর যাতে শরীরের অবনতি না হয় সেই কারণেই চিকিৎসক ওই যুবকের ডান হাতের কনুই থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই ঘটনায় গুড়গুড়িপাল থানা সহ জেলাশাসকের দপ্তর ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে মেদিনীপুরের এক চিকিৎসকের নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যিনি অস্ত্রোপচার করেছিলেন। যদিও ওই চিকিৎসক চিকিৎসায় গাফিলতির কোনো অভিযোগ স্বীকার করেননি।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটির তরফ থেকে এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং ওই বেসরকারী হাসপাতালের সাথে কথা বলা হবে। সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।