নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে প্রবেশের প্রতিবাদ করায় বাড়ির মালিককে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগ উঠেছে ভাড়াটের বিরুদ্ধে। এমনকি বাড়ির মালিককে খুন করার পর তার সাথে সেলফিও তোলেন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দিল্লিতে ঘটেছে। মৃতের নাম সুরেশ। আর অভিযুক্ত ভাড়াটে বিহারের বাসিন্দা পঙ্কজ কুমার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঙ্কজ কর্মসূত্রে দিল্লিতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। অভিযোগ ওঠে যে, প্রায়শই সে বাড়িতে মদ খেয়ে ঢুকতেন। তাতে বেশ কয়েকবার সুরেশবাবু আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাতে দু’জনের মধ্যেও বচসাও হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার পঙ্কজ সুরেশবাবু ও তার ছেলে জগদীশের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেও পঙ্কজ একই কাজ করে যাচ্ছিলেন।
ফলে আবার সুরেশবাবু এবং জগদীশবাবুর সাথে চরম বিবাদ হয়। এক্ষেত্রেও সে আবার বিষয়টি মিটমাট করে নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন যে, আর কখনো মদ্যপ অবস্থায় ঘরে আসবেন না। কিন্তু পঙ্কজকে সুরেশবাবু বার বার অপমান ও গালিগালাজও করায় প্রতিশোধ নিতেই খুনের পরিকল্পনা করেন।
পঙ্কজ জেরায় জানিয়েছে, “সুরেশবাবু ঘরে ঘুমানোর সময় মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে খুন করে মৃতদেহের সাথে সেলফি তুলে ভোরবেলায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর জগদীশবাবুকে ফোন করে জানান, “সুরেশবাবু অপমান করায় বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছেন।”
তাতে জগদীশবাবুর সন্দেহ হওয়ায় তিনি এক তলার ঘরে যেতেই দেখেন, সুরেশবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় নিথর হয়ে পড়েছিলেন। এরপর জগদীশবাবুর তরফ থেকে দ্রুত পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ২৫০ কিলোমিটার ধাওয়া করে অভিযুক্ত পঙ্কজকে গ্রেফতার করেন।