নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের আটটি গ্রামের প্রায় হাজারের কাছাকাছি জন্ডিস আক্রান্তের খোঁজ আগেই মিলেছিল। তা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে এবার লেপ্টোস্পাইরা মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি মূলত ইঁদুরবাহিত রোগ। সাধারণ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর খুব একটা মেলে না। কিন্তু রাজগঞ্জের চেকরমারি গ্রামে একসঙ্গে ১৫ জন লেপ্টোস্পাইরা রোগীর খোঁজ মেলায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের।
গত কয়েকদিনে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকরমারি গ্রাম-সহ মোট ৮ টি গ্রামে লাফিয়ে বাড়ছে জন্ডিস ও লেপ্টোস্পাইরা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। কিছু মানুষ আবার স্ক্রাব টাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অন্য়দিকে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে মঙ্গলবার দিনভর বেশ কিছু মানুষ জন্ডিসের উপসর্গ নিয়ে আউটডোরে এসেছেন। পাশাপাশি যাদের রক্তের স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে নতুন করে আরও আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রামগুলিতে চলছে স্ক্রিনিং ক্যাম্প।
রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে জন্ডিস আক্রান্ত পুরনো রোগীদের পাশাপাশি মঙ্গলবার আরও ১০ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী। গর্ভবতী মহিলারাও একই উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। এই মুহুর্তে ওই হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও ১০টি বেড বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যে ১৪৮ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার নতুন করে আরও ৬৮ জনের ব্লাড স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
CMOH ডাঃ অসীম হালদার বলেন সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকরমারি গ্রামে আড়াই লাখ মুরগির একটি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই ফার্মে মুরগির বিষ্ঠা জমে জমে পাহাড়-প্রমাণ আকৃতি ধারণ করেছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ মাছি জন্মাচ্ছে, গ্রামে ছড়াচ্ছে। ফার্মে আসছে প্রচুর ইঁদুর। ওই ইঁদুরের মূত্র থেকে ইঁদুর জ্বর ও স্ক্রাব টাইফাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে লেপ্টোস্পাইরা রোগ নিয়ে খুব বেশি ভয় পাওয়ার কারণ নেই বলে মনকরছেন তিনি। তিনি বলছেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসা হয়। রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।”